মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১০:২১

একই পরিবারের চারজন ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি বড় ধরনের গুজব : অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ

গুজবে নাকাল হাজীগঞ্জবাসী!

কামরুজ্জামান টুটুল
গুজবে নাকাল হাজীগঞ্জবাসী!

১৩ অক্টোবর বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারের একটি পূজামন্ডপে ভাংচুর করার সময় কিছু মিছিলকারীর সাথে পুলিশে সংঘর্ষ হয়। সেই সময় থেকে গুজবের পর গুজবের ডালপালা ছড়াতে শুরু করে। একের পর এক মিথ্যে গুজবে অনেকটাই নাকাল পুলিশ, সাংবাদিক ও সাধারণ শান্তিপ্রিয় আমজনতা। এই গুজবগুলো মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা, বুধবার রাতে পুলিশের গুলিতে ৪ জন নিহত হয়। সেই ৪ জনকে ৭ জন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়াতে শুরু করে।

উপজেলার বলাখাল চন্দ্রবান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মানিক সাহা ঘটনার রাতে মারা যান। মানিক সাহা হামলায় মারা গেছেন বলে চারদিকে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। মানিক সাহা স্ট্রোক করে মারা গেছেন বিষয়টি তার ভাই লোকনাথ সাহা, মানিক সাহার বন্ধু যার কোলে মানিক সাহা মারা গেছেন সেই শিক্ষক জাকির হোসেন ও তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমকে স্ট্রোকজনিত কারনে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ১০ বছরের শিশুসহ একই পরিবারের চারজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায়। শিশুটি মারা গেছে বলেও গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের হাজীগঞ্জ শাখার সভাপতি রোটা. রুহিদাস বণিক তার নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বক্তব্যে বিষয়টিকে গুজব বলে উল্লেখ করেন বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়টি গুজব। এ জাতীয় কোন তথ্য আমাদের কারো জানা নেই, তাই কেউ গুজবে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানান তিনি।

ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর হাজীগঞ্জে জড়ো হন গণমাধ্যমের কর্মীরা। স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন তারা। কিন্তু এমন কোনো ঘটনা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি। সবাই এটাকে গুজব বলে উল্লেখ করেন। হাজীঞ্জ উপজেলা হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র সাংবাদিকদের বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার কোথাও কোনো পরিবারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, একই পরিবারের চারজন ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি বড় ধরনের গুজব। আমরা সব জায়গায় লোকজন পাঠিয়েছিলাম। এ ধরনের কোনো ধর্ষণের বিষয় জানা যায়নি। থানায় এ ধরনের কোনো অভিযোগও আসেনি।

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, কেউ কোন গুজবে কান দিবেন না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়