প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২১, ০০:৩৫
টাকার অভাবে প্রতিবন্ধীর সন্তানের শরীর অবশের পথে
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবার বেঁচে থাকার অবলম্বল ছিলো ছেলে আকাশকে ঘিরে। মাত্র ৯ম শ্রেনীতে পড়ছে আকাশ। বাবা সারাক্ষন স্বপ্ন দেখতেন ছেলেটা এক সময় বড় হবে সংসারের হাল ধরবে কিন্তু বিধিবাম। ফুটবল থেলতে গিয়ে পড়ে গিয়ে কোমরের মাংশ পেশীতে ইনফেকশন দেখা দেয়। এরপর থেকেই কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ড্যামেজের পথে। দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে না পারলে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাবে আকাশ। আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে হবে ও এ জন্য ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সন্তানকে চিকিৎসা করানোর কোন উপায় নেই প্রতিবন্ধী বাবার। আকাশ কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের আমুজান গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (মৃধু) মাহবুব আলমের মেঝো ছেলে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়. গত বছরের ডিসেম্বর ফুটবল খেলতে গিয়ে কোমরের হাড়ে গুরুতর আঘাত পায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম আকাশ। সেই সময় চিকিৎসা করাতে গিয়ে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাবার সঞ্চয় ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি অপারেশন করান। কিন্তু অর্থাভাবে পরিপূর্ণ চিকিৎসা না হওয়ায় বর্তমানে আকাশের কোমরের দুইটা মাংশপেশিতে ইনফ্লামেশন হয়েছে। এতে করে তার কিডনি সহ শরীরের অনেক অর্গান ড্যামেজের আশংকা করছেন চিকিৎসকরা।আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। এ জন্য প্রয়োজন প্রায় ৭ লাখ টাকা।
কিন্তু আকাশের বাবা নিজেই একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র্ । দরিদ্র বাবার পক্ষে এতো টাকা সংগ্রহ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। যেখানে জীবিকা নির্বাহ করাই তার কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে, সেখানে ছেলের চিকিৎসা করাবেন কি করে?
আকাশ বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলা সমাজসেবার অধিনে থেকে পড়ালেখা করে। আকাশের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে তার বাবা মাহবুব আলমের সাথে যোগাযোগ করুন। মাহবুব আলম বিকাশ ০১৮৩১-৯৭৬-৫৭৩, নগদ ০১৭২৭-৩০৯-৯০১ এবং আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংকের রহিমানগর শাখার একাউন্ট নাম্বার- ০৯০১১২০০৯৪৭৫১।
আকাশের বাবা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ও আকাশ বর্তমান বিনা চিকিৎসায় পঙ্গু হওয়ার পথে রয়েছে এমন বিষয়টি গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহারিয়ার শাহিন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাহবুবের ছেলের উন্নত চিকিৎসায় কয়েক লাখ টাকার প্রয়োজন। তিনি বিত্তবানদের সহযোগিতার আহবান জানান।