প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৫, ১৭:১৫
নয় মাস পর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠান আয়োজন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী উদযাপিত

বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান পুরুষ কবিগুরু-খ্যাত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মজয়ন্তী ছিলো বৃহস্পতিবার (২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ৮ মে ২০২৫)। এ উপলক্ষে ওইদিন
|আরো খবর
সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে 'রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ'। অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএমসহ অন্যরা। রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনা করেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইদুজ্জামান।
অবশেষে রবীন্দ্রজয়ন্তীর এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মঞ্চে অনুষ্ঠান পুনরায় শুরু হলো।
শিল্পকলা একাডেমি ঘিরে বছরজুড়ে সরব থাকে জেলা-উপজেলার শিল্প ও সংস্কৃতি চর্চা। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে বন্ধ হয়ে যায় সংস্কৃতি চর্চার সব ধরনের কর্মকাণ্ড। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির কিছু দাপ্তরিক কাজও বন্ধ হয়ে যায় ।
ওই সময় ছাত্র জনতার ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরও উত্তপ্ত ছিলো।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ফ্যাসিবাদের দোষে আক্রান্ত হয় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী। এখানে অগ্নিকাণ্ড এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এরপর স্থবির হয়ে পড়ে চাঁদপুর জেলা সদরের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড।
পরবর্তীতে সরকারের পটপরিবর্তন ও নতুন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রাণ ফিরে পায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি। রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখরিত হয়ে উঠে জেলা শিল্পকলার অডিটোরিয়াম।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর শহর শিল্প সংস্কৃতির শহর। জুলাই বিপ্লবে জেলা শিল্পকলা একাডেমি স্থবির হয়ে পড়ে। এই শিল্পকলা একাডেমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ঠিকমত করতে পারছিলো না। আমি আসার পর থেকে শিল্পকলা একাডেমির সংস্কার নিয়ে কাজ করেছি। যেন জেলার সংস্কৃতি কর্মীরা একটা একাডেমির জন্যে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় পিছিয়ে বা ঝিমিয়ে না পড়ে। জেলার সকল সংস্কৃতি কর্মীদের নিয়ে আমরা আবার এই শিল্পকলা একাডেমি চালু করতে পেরেছি। আশা করি এখন থেকে এখানে প্রায়শই অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পাবে জেলার পুরো সাংস্কৃতিক অঙ্গন।