রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:৩০

শবে ক্বদর : হাজার মাসের চেয়ে উত্তম

অনলাইন ডেস্ক
শবে ক্বদর : হাজার মাসের চেয়ে উত্তম

পবিত্র কোরআন মাজীদে যে রাতটিকে ‘খাইরুম মিন আলফে শাহরিন’ তথা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে সে রাতটি হলো শবে ক্বদর বা লাইলাতুল ক্বদর। এ রাতটি কোন্ রাত তা নির্দিষ্ট করে বলা না হলেও ২৭ রমজান রাত তথা ২৬ রমজান দিবাগত রাতে এ রাতটি উদ্যাপিত হয়ে আসছে মুসলিম দুনিয়ায়। এরও একটা যৌক্তিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। আর সে রাতটি হলো আগামীকালের রাত।

২৭ রমজান রাতটি মুসলিম উম্মাহর কাছে অনেক মর্যাদার এবং গুরুত্বের। এ রাত মুসলিম উম্মাহর কাছে এতোটা গুরুত্ব এবং মর্যাদাবান হওয়ার কারণ হলো- ঐশী গ্রন্থ আল-কুরআন এই রাতে হযরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামার উপর সর্বপ্রথম অবতীর্ণ হয়। সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব সর্বশেষ নবীর উপর অবতীর্ণ হয় ক্বদরের রাতে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআন মাজীদে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। কোরআনে শবে ক্বদর নিয়ে ‘সূরাতুল ক্বদর’ নামে স্বতন্ত্র একটি সূরা রয়েছে। এই সূরায় ক্বদর রাতের মর্যাদা এবং মাহাত্ম্য উল্লেখ করা হয়েছে। এই সূরাতেই বলা হয়েছে-’নিশ্চয়ই আমি ক্বদরের রাতে কোরআন নাজিল করেছি।” পরের আয়াতে উল্লেখ রয়েছে- “লাইলাতুল কদর বা শবে ক্বদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।” ক্বদরের রাতে ইবাদত করলে হাজার মাস ইবাদত করার সাওয়াবের অধিক সাওয়াব পাওয়া যায়। তার কারণ হলো-এই রাতে কোরআন নাজিল হয়েছে। এই মহিমান্বিত রাত রাব্বুল আলামিন শুধু উম্মতে মোহাম্মদিকে দিয়েছেন।

এখন এই রাত কোনটি সেটা জানার বিষয়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশদিনের বিজোড় রাতে শবে ক্বদর তালাশ করো। শেষ দশদিনের যেকোনো বিজোড় রাতে শবে ক্বদর হবে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শবে ক্বদর নির্দিষ্ট করে না দেয়ার মধ্যে হেকমত রয়েছে। উম্মত যেনো রমজানের শেষদিকে এসে ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে রাত কাটিয়ে দেয় শবে ক্বদর পাওয়ার আশায়। আর শবে ক্বদর যেনো উম্মত থেকে ছুটে না যায় সে জন্য রমজানের শেষ দশদিন ই’তিকাফের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উম্মত যদি ইতিকাফ করে তাহলে শবে ক্বদর ছুটে যাওয়ার কোনো আশংকা নেই।

এখন প্রশ্ন হলো-আমরা ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে শবে ক্বদর হিসেবে নির্দিষ্ট করে ফেললাম কীসের ভিত্তিতে? তার জবাব হচ্ছে-মুসলিম উম্মাহর প্রথম সারির একজন মুজতাহিদ প্রখ্যাত তাবিয়ী ইমাম আবু হানিফা (র.) ২৬ রমজান দিবাগত রাতকে শবে ক্বদর বলে মতামত দিয়েছেন। এর দ্বারা তিনি উম্মতে মোহাম্মদির উপর অনেক বড় এহসান করেছেন। মুসলমান একনাগাড়ে পুরো দশদিন ইবাদত করতে না পারলেও অন্তত একটি রাত যেনো ইবাদতের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে দেয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়