প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬
ফজিলতপূর্ণ রমাদ্বান
ইফতারের পূর্ব মুহূর্তের দোয়া আল্লাহ সরাসরি কবুল করেন

তাওরাত কিতাব নাজিল হওয়ার পূর্বে হযরত মুসা (আঃ) তুর পাহাড়ে উঠে ৪০ দিন সিয়াম পালন করেছিলেন। তারপর মুসা (আঃ) ও আল্লাহপাকের মধ্যে কথোপকথন হয়। এক পর্যায়ে হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ পাকের শোকর আদায় করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে কিতাব দান করেছো, হেকমত দান করে মর্যাদাবান করেছো। এমন হেকমত কি আর অন্য কাউকেও দান করেছো? তখন আল্লাহ পাক বললেন, ‘আখেরি নবীর উম্মত তথা উম্মতে মোহাম্মদীকে আমি দুটি নূর দান করেছি, যেনো সে নূরের দ্বারা তারা অন্ধকার থেকে মুক্তি পেয়ে আলোর পথে আসতে পারে। সে দুটি নূর হলো : নূরুর রামাদ্বান ওয়া নূরুল কুরআন।’ আল্লাহ পাক বললেন, হে মুসা! তোমার সাথে আমার কালাম হয়েছে। আমি কথা বলেছি, তুমি শুনেছ, আবার তুমি কথা বলেছো, আমি মা’বুদ কুদরতের কানে শুনেছি। তারপরও তোমার আর আমার মাঝখানে ৭০ হাজার নূরের পর্দার ব্যবধান ছিলো। কিন্তু আমার আখেরি নবীর উম্মতেরা সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের সময় যখন আমার দরবারে হাত তুলে দোয়া করবে সাথে সাথে আমি তাদের দোয়া কবুল করবো। আমি আল্লাহ তাদের দোয়া এমনভাবে কবুল করি যে, আমাদের মাঝখানে কোনো হিজাব (পর্দা) থাকে না। এ প্রসঙ্গে হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত একখানা হাদিস। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যারা রোজা রাখে তাদের জন্যে আনন্দ উপভোগের দুটো বিশেষ সুযোগ রয়েছে। প্রথমত ইফতার করার সময়, দ্বিতীয়ত হাশরের ময়দানে যখন মহান রবের সাক্ষাৎ লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ্! আল্লাহ পাক আমাদের উপর কতইনা মেহেরবান! তিনি আমাদের জন্য এমন এক নেয়ামত ও ফজিলতপূর্ণ ইবাদত দিয়েছেন। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সেরূপ রোজাদার হিসেবে কবুল করেন।