শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৪

সদর মডেল থানা পুলিশের বড়ো সফলতা

অনলাইন ডেস্ক
সদর মডেল থানা পুলিশের বড়ো সফলতা

    চাঁদপুর শহরের রহমতপুর কলোনীতে পাওনা টাকার জন্যে কোহিনুর বেগম নামে এক নারী নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন নয় বছর আগে।  খুনি  নাজমা আক্তারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি বলে জনমনে ছিলো চাপা ক্ষোভ। অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতোমধ্যে কোহিনূর হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন হয়ে যায়। বিচারে নাজমার মৃত্যুদণ্ড হয়। বুধবার (১ জানুয়ারি ২০২৫)  রাতে নাজমাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া।

    পুলিশ সূত্র বলে, ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট রহমতপুর কলোনিতে পাওনা টাকা পরিশোধের  লোভ দেখিয়ে কোহিনুরকে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে যায়  নাজমা আক্তার নয়ন এবং পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় আদালত আসামি নাজমা আক্তার নয়নকে ৩০২/৩৪ পেনাল কোডে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরও দীর্ঘ সময় পলাতক ছিলো নাজমা। অবশেষে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে নয়নকে আটক করতে সক্ষম হয়  পুলিশ। চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন,  আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ বছর পলাতক থাকাবস্থায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আসামি নাজমা আক্তার নয়নকে লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেফতার করা সম্ভব  হয়েছে। নাজমা রহমতপুর আবাসিক এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা। এই ঘটনায় অপর আসামি ধেন্দা রফিককে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত  আসামি নাজমা আক্তার নয়নকে আদালতে প্রেরণ করেছি।

    স্মরণকালে চাঁদপুর শহরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে কোহিনুর হত্যাকাণ্ড ছিলো অত্যন্ত আলোচিত। এই হত্যার মর্মান্তিকতা শহরবাসীকে ভীষণ ব্যথিত করে। কিন্তু খুনিকে ধরতে পুলিশের দীর্ঘদিনের ব্যর্থতায় সাধারণ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ। দেরিতে হলেও পুলিশ নাজমা আক্তার নয়নের মতো ঠাণ্ডা মাথার ভয়ঙ্কর  খুনিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এটা চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের বড়ো সফলতাই বটে। এজন্যে তাদের সাধুবাদ।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়