প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪
প্রবাসী মনিরের উদারতা!
'ফরিদগঞ্জে ছয়শ' প্রতিবন্ধীকে ১২ লাখ টাকা দিলেন স্পেন প্রবাসী মনির' সংবাদটি নিশ্চয় অনেক পাঠকের নজর এড়ায়নি। এটি চাঁদপুর কণ্ঠের প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে গতকাল সোমবার গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর চরবড়ালী হাজী ফজলুর রহমান কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন স্পেন বিএনপির সভাপতি ও হাজী ফজলুর রহমান কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মনির হোসেন পাটোয়ারী। জনপ্রতি দু হাজার টাকা করে ৬শ' প্রতিবন্ধীর মাঝে এ সহায়তা প্রদান করেন তিনি। রোববার (২৯ ডিসেম্বর ২০২৪) সকালে কালিরবাজার মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পেন প্রবাসী মনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, এরা আল্লাহর নেয়ামত। যার ঘরে প্রতিবন্ধী আছে, সে ঘরে আল্লাহর নেয়ামত রয়েছে। আল্লাহ আমার হাত দিয়ে প্রতিবন্ধীদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সামর্থ্য প্রদান করায় আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। আল্লাহর নেক দৃষ্টি আমার প্রতি ছিলো বলেই আমি আজ এ প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছি। প্রবাসে আমার কষ্টার্জিত পয়সায় আপনাদের সেবা করতে পেরে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। আগে দেশে যে সরকার ছিল, তাদের অস্থিরতার কারণে কাউকে প্রকাশ্যে দান করতে পারি নি, গোপনে দান করেছি। আমার পিতার নামে মরহুম ফজলুর রহমান কল্যাণ ট্রাস্ট নামে আমি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে নিবেদিত ট্রাস্টের নামকরণ করেছি। আপনারা আমার বাবার জন্যে ও আমার জন্যে দোয়া করবেন। ফরিদগঞ্জের স্পেন প্রবাসী মনিরের পক্ষে ব্যতিক্রমভাবে তাঁর পিতার নামীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যানারে প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানো উল্লেখযোগ্য ঘটনাই বটে। ছয়শ' প্রতিবন্ধীকে খুঁজে এক জায়গায় আনাটা নিঃসন্দেহে কষ্টকর এবং তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করাটা গতানুগতিকতার বাইরে একটি বিরল কাজ। এজন্যে যে উদারচিত্ততা প্রয়োজন, সেটা প্রবাসী মনির ধারণ করেন, যেটা প্রশংসনীয়। কথা হলো, প্রতিবন্ধীদের প্রতি তাঁর এই সেবা স্বার্থের ঊর্ধ্বে তো? যদি স্বার্থহীন না হয়, তাহলে সেটা তাঁর উদ্দেশ্যকে আনুকূল্য দেবে না। আমরা তাঁর সেবাকে স্বার্থহীন ধরে নিয়েই বলছি, ছয়শ' প্রতিবন্ধীকে তিনি সাময়িক যে আর্থিক সহায়তা দিলেন, তার পাশাপাশি তিনি যদি অন্তত ছয়জনকে স্বাবলম্বী হবার মতো পুঁজি দেন, প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতা দেন এবং সেটা পেয়ে প্রতিবন্ধীরা তাদের কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করে যদি স্বাবলম্বী হয়েই যান, তাহলে সেটা সমাজের জন্যে হবে দৃষ্টান্তমূলক। আশা করি তিনি বিষয়টি ভেবে দেখবেন।