প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫
এই প্রতিভার যথার্থ লালন হোক
'শাহরাস্তির আবদুল্লা খাজির দাবায় দেশসেরা' শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোঃ আবুল কালাম ছোট্ট একটি প্রতিবেদন পরিবেশন করেছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র আবদুল্লা খাজির বিন আয়াজ ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দাবা বালক (বড়) বিভাগে দেশসেরা তথা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে কুমিল্লা অঞ্চলের প্রতিনিধি রূপে আবদুল্লা খাজির বিন আয়াজ বরিশালে অনুষ্ঠিত ৫১তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এবং সারা দেশের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় হিসেবে সনদ, মেডেল ও ট্রফি গ্রহণ করে। এ উপলক্ষে সোমবার শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. ইয়াসির আরাফাতের পক্ষ থেকে তাঁর কার্যালয়ে আব্দুল্লা খাজিরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
|আরো খবর
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আয়াজ ঐ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র। রোল নং-১। তার পিতা মো. আয়াজ গাজী ফরিদগঞ্জ উপজেলার চির্কা চাঁদপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মাতা খোদেজা বেগম উপজেলার শোরসাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা। আবদুল্লা খাজিরের এ কৃতিত্বের জন্যে তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের দাতা সদস্য মো. ইকবাল হোসেন ভ্ূঁইয়া সহ অন্যান্য সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজির আহমেদ এবং শিক্ষক মণ্ডলী।
শাহরাস্তি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চেড়িয়ারা স্কুল এন্ড কলেজ। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে এই প্রতিষ্ঠানটি শাহরাস্তি উপজেলায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সেই আনন্দ-রেশ মন থেকে মুছে না যেতেই আরো একটি আনন্দের সংবাদে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আলোকিত হলো। আবদুল্লা খাজিরের দাবায় দেশসেরা হবার কৃতিত্বটাই উজ্জ্বল প্রতিভাসে প্রতিষ্ঠানটিকে এতোটা আলোকিত করেছে, যেটা শুধু শাহরাস্তি উপজেলা নয়, পুরো জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। খাজিরের মতো ক্রীড়া-প্রতিভা গ্রামে থেকেও যে প্রকাশ-বিকাশের বিরল সুযোগ পেলো, সেটা অবশ্যই বিশেষ বিবেচনার বিষয়। কথা হলো, এই প্রতিভার যথার্থ লালন হবে তো?
শিক্ষক দম্পতির ছেলে আবদুল্লা খাজির। তাকে ঘিরে এই দম্পতির নিশ্চয়ই রয়েছে অনেক উচ্চাশা, অবশ্যই সেটা দাবাকেন্দ্রিক নয়। যেহেতু খাজির মেধাবী ছাত্র, সেহেতু শিক্ষা জীবনে কৃতিত্ব অর্জনের পাশাপাশি দাবায় তার কৃতিত্ব ধরে রাখার ধারাবাহিকতাটা চ্যালেঞ্জিং বটে। এই চ্যালেঞ্জে সে কতোটা বিজয়ী হবে সেটা ভবিষ্যৎই বলে দেবে। সবকিছুর ঊর্ধ্বে খাজিরের দাবা-প্রতিভার যথার্থ লালন হোক, সেটাই আমাদের হার্দিক প্রত্যাশা।