প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩
মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে রাজনৈতিক দলের সভা!
আমাদের দেশের বড়ো রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত কর্মী সম্মেলন, দ্বিবার্ষিক/ত্রিবার্ষিক সম্মেলন, বর্ধিত সভা, জনসভা, পথসভা, প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল, আনন্দ মিছিল, মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ, সংবাদ সম্মেলন, প্রেস ব্রিফিং, বিবৃতি প্রদান, হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। এর বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমভাবে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্যে সভা, সমাজ উন্নয়নের জন্যে মতবিনিময় সভা, সম্প্রীতি সমাবেশ, মাদকবিরোধী কর্মসূচি পালন করে না বললেই চলে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর নূতন বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলোকে এখন ব্যতিক্রম কাজ করতে দেখা যাচ্ছে, যদিও সেটা বিরল। মতলব উত্তরে সেই বিরল কাজই করেছে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল। তারা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সভার আয়োজন করেছে, যেখানে রীতিবিরুদ্ধ হলেও থানার ওসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠের মতলব উত্তরের ব্যুরো ইনচার্জ মাহবুব আলম লাভলু লিখেছেন, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ছেংগারচর পৌরসভার বোর্ড স্কুল প্রাঙ্গণে পৌর ৭ নং ওয়ার্ড যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক। তিনি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জুয়ার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করে বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও জুয়ার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এ ছাড়া চুরি, কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত, ইভটিজিং রোধে এবং বেপরোয়া ও বিকট শব্দে গাড়ি চালিয়ে শব্দ দূষণ বন্ধে পুলিশ কাজ করবে। কেউ যাতে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারেও পুলিশ সতর্ক থাকবে। এসব সমস্যা নির্মূলে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। পৌর বিএনপি নেতা আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে ও ০৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইসমাঈল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এসআই মিজানুর রহমান-১, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কমিশনার ওয়ালিউল্লাহ দর্জি, শ্রমিক দল নেতা মো. মানিক, যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার আল-আমিন প্রমুখ।
ফ্যাসিবাদী হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষমতাপ্রত্যাশী দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। এমতাবস্থায় দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলোর কেউ বিচ্ছিন্নভাবে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, ভূমিদস্যুতা ইত্যাদি অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাওয়াটা ব্যতিক্রম কিছু নয়। বরং ব্যতিক্রম হচ্ছে এমন অপরাধের বিরুদ্ধে নিজেরাই সোচ্চার হতে কোনো কর্মসূচি পালন করা। যেমনটি মতলব উত্তরে যুবদল করেছে। নিশ্চয়ই এক্ষেত্রে তারা তাগিদ অনুভব করেছে। নিঃসন্দেহে যুবদলের এমন উদ্যোগ সময়োপযোগী, যেটা বিপথগামী নেতা-কর্মী-সমর্থকদের সতর্ক করবে। উপর্যুপরি দলীয় হাই কমান্ডের পক্ষ থেকে উচ্চারিত যে কোনো অপরাধবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হবার কঠোর নির্দেশনাকে আনুকূল্য দেবে।