প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৫৪
গ্যাস সংযোগের গুজবকে সত্য বানানোর প্রয়াস!
|আরো খবর
হাজীগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, চাঁদপুর কণ্ঠের ব্যুরো ইনচার্জ কামরুজ্জামান টুটুল গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে লিখেছেন, গ্যাসের নতুন সংযোগ কিংবা চুলা বাড়ানোসহ যে কোনো গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে বলে চারদিকে চাউর হয়ে গেছে। এই ফাঁকে একটি মহল গ্যাস সংযোগের নামে কাগজপত্র ও টাকা নেয়ার কাজে মেতে উঠেছে। বিশেষ করে বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড, চাঁদপুর অঞ্চলে এমনটি হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিষয়টির সত্যতা জানতে পত্রিকা অফিসেও ফোন আসতে থাকে। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকল ধরনের গ্যাস সংযোগের বিষয়টি স্রেফ গুজব আর ভুয়া। বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পত্রিকার মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ১৫/২০ দিন পূর্বে চারদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ে যে, নতুন গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। এমন খবরে গ্যাস সংশ্লিষ্ট কিছু অসাধু লোক চারদিকে প্রচারণা শুরু করে যে, গ্যাস সংযোগ দেয়া হবে। সে জন্যে কিছু ডকুমেন্ট চাইতে শুরু করে। সেমতে পুরাতন বিলের বইয়ের ফটোকপি, পিপি সাইজের ২ কপি ছবি, ভোটার আইডি কার্ডের রঙ্গিন ফটোকপি, হোল্ডিং বা চৌকিদারি ট্যাক্সের কপি, রোড কাটিং সনদ, দলিল বা খতিয়ানের ফটোকপি, দলিলে একের অধিক নাম থাকলে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প, যার নামে গ্যাস নিবে তার মোবাইল নম্বর, ছেলেমেয়ের নাম ও বয়স এবং খাজনা দলিলের ফটোকপি ফাইল করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছে জমা দিতে বলা হচ্ছে। এ সকল কাগজপত্র অনেকেই নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জের বয়োবৃদ্ধ গ্যাস ঠিকাদার আলহাজ্ব তাজুল ইসলাম জানান, কিছু লোকজন গ্যাস সংযোগের নামে কাগজ ও টাকা নিচ্ছে বলে শুনছি। তবে কারা টাকা নিচ্ছে তা সুনির্দিষ্টভাবে জানি না। গ্যাস ঠিকাদার রুহুল আমিন ও লিটন জানান, আমরা শুনেছি অনেকে গ্যাস সংযোগের নামে কাগজপত্র নিচ্ছে। তবে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড চাঁদপুর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক ( বিক্রয়) জানান, গ্যাস সংযোগ দেবার খবরটি সঠিক নয়। এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের জানা নেই। অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা জানান, কোনো গ্যাস সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। আর এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি আমাদের হেড অফিস থেকে পত্রিকায় দেয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নূতন করে গ্যাস সংযোগের বিষয়টি এতো বেশি পোস্ট করা হয়েছে যে, গ্যাস সংযোগ নিতে মুখিয়ে থাকা লোকজন সেটাকে সত্যই ভেবে নিয়েছে। একটি চক্র এই সুযোগে নূতন বাড়ির মালিক কিংবা নির্মাণাধীন ভবনের মালিকদেরকে নূতন গ্যাস সংযোগ পেতে প্রলুব্ধ করছে, বিভিন্ন কাগজপত্র চেয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের প্রয়াস চালাচ্ছে এবং নূতন গ্যাস সংযোগ পেতে অতি আগ্রহীদের কাছ থেকে প্রমাণবিহীন টাকাও নিচ্ছে। চক্রটি এটা বোঝাতে চাচ্ছে যে, যা রটে তা কিছু কিছু বটে। গ্যাস কর্তৃপক্ষের পত্রিকায় প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিও ফেসবুকের প্রচারণায় ঢাকা পড়ে গেছে। এমতাবস্থায় নূতন গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত গুজব/বিভ্রান্তি রোধে আর কী কী করা যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে গ্যাস কর্তৃপক্ষকেই।