প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫১
ফরিদগঞ্জের মতো টাস্কফোর্সের অভিযান হোক সর্বত্র
ফরিদগঞ্জ উপজেলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযানে নেমে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা উভয়ের কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করে। ২৩ অক্টোবর বুধবার উপজেলার রূপসা বাজারে অভিযান পরিচালনাকালে এমন দৃশ্য দেখতে পান টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রূপসা বাজারের কঁাচা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতারা কাগজে-কলমে এক ধরনের মূল্য দেখালেও বিক্রি করেন আরেক দামে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আড়তদারের সামনে বেশ ক'জন খুচরা বিক্রেতাকে মুখোমুখি করলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। পরে টাস্কফোর্স পাইকারি ও খুচরা পণ্য বিক্রেতা উভয়কে এখন থেকে পণ্য বিক্রির সাথে সাথে পাকা রসিদ দেয়ার এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রির নির্দেশনা প্রদান করেন।
|আরো খবর
টাস্কফোর্সের সদস্য ও ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ফরহাদ বলেন, এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চললে ভোক্তা ও বিক্রেতার মধ্যে সচেতনতা চলে আসবে। বাজারের দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি একটি সহনীয় অবস্থায় ফিরে আসবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই সচেতন হতে হবে। তবে নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।
সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমে পরিবেশিত সংবাদের আলোকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ফরিদগঞ্জের টাস্কফোর্স জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সের চেয়ে তুলনামূলক সক্রিয়। এরা যখনই অভিযানে নেমেছে, তখনই উল্লেখযোগ্য কিছু না কিছু করে দেখিয়েছে। বুধবার অভিযানে নেমে দ্রব্যমূল্য নিয়ে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার কারসাজি হাতেনাতে ধরে সাধারণকে সচেতন হবার যে ম্যাসেজটা দিয়েছে, সেটা অনেক বড়ো। এমন বড়ো কাজ ধৈর্য ধরে প্রতিটি টাস্কফোর্সের করা উচিত। প্রায়শই দেখা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত, টাস্কফোর্স, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তাদের পরিচালিত অভিযানে সংক্ষিপ্ততা ও বিক্ষিপ্ততাকে বিবেচনায় রাখে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানে বারবার অভিযান চালানোর বিষয়টাকে তারা এড়াতে চান। দৃষ্টান্ত ও আলোড়ন বা মডেল সৃষ্টিতে এটা যে অনেক কার্যকর সেটা এ সংক্রান্ত বোদ্ধাদেরও বোঝানো যায় না।