বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৪

কারণটা কী?

অনলাইন ডেস্ক
কারণটা কী?

‘সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত বেতন আদায়ের অভিযোগ!’ শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের কাছ থেকে ২০ টাকার মাসিক বেতন ২৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পলাতক থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রধান শিক্ষক হাছিনা আক্তার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে ২০ টাকার মাসিক বেতন ২৫০ টাকা করে নির্ধারণ করেন। জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মাসিক বেতন দিতে গেলে জানেন, এখন থেকে ২৫০ টাকা করে বেতন দিতে হবে। এই নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার শিক্ষার্থীদের একটি আবেদন দিতে বলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক জানান, সরকারি স্কুলে খরচ কমবে, সরকার পতনের পরে খরচ আরো বেড়ে গেলো। ২০ টাকার বেতন ২৫০ টাকা করে নির্ধারণ করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার। বাড়তি ফি নেওয়ার ব্যাপারে আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করি?-- প্রধান শিক্ষক না থাকায় গলায় ছুরি দেওয়া শুরু করলো স্কুল কর্তৃপক্ষ?

এ বিষয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার জানান, প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল স্যারের সাথে আলোচনা করে বেতন বাড়ানো হয়েছে। ২৫০ টাকা করে বেতন নেওয়ার জন্যে লিখিত আছে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল জানান, নিয়ম হলো প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তার সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু আমার কোনো কথার দাম না দিয়ে নিজের মর্জিমত সিদ্ধান্ত নেন সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসিনা আক্তার। সরকারি স্কুলে সরকারের নির্ধারিত বেতন ছাড়া বাড়তি বেতন নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমি এই ব্যাপারে কিছুই জানি না।

প্রধান শিক্ষকের পলাতক থাকাসহ বহুরূপী অনিয়মে আলোচিত ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষা সনদ জটিলতাসহ অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্তি, পিতার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ সংগ্রহ করে স্বীয় স্বার্থে ব্যবহার, আর্থিক অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি চাকুরি করেও রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদে অধিষ্ঠানসহ দুর্নীতিতে আপাদমস্তক আচ্ছন্ন এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি গণরোষে পড়ার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সহ ঊর্ধ্বতন বেশ ক'জন কর্মকর্তার বক্তব্য সম্বলিত একাধিক প্রতিবেদন চাঁদপুর কণ্ঠে ছাপা হয়েছে। কিন্তু এই কুখ্যাত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ন্যূনতম শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে বলে জানা যায়নি। কারণটা কী? এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের ২০ টাকার মাসিক বেতন ১২ গুণেরও বেশি অর্থাৎ ২৫০ টাকা আদায়ের যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, তাতে এটা বলতে আমাদের দ্বিধা হয় না যে, একের পর এক দুর্নীতির পরও ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের নীরবতায় বিদ্যালয়টি এখন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়