শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:৫০

শুধু বালুদস্যুতা নয়, ভূমিদস্যুতাও রুখতে হবে

অনলাইন ডেস্ক
শুধু বালুদস্যুতা নয়, ভূমিদস্যুতাও রুখতে হবে

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডে ওয়্যারলেস বাজারের ফরিদগঞ্জ সড়কের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ এক প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। এছাড়া আদালতের রায় ‘স্থিতাবস্থা’ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না প্রতিকার।

সরজমিনে দেখা যায়, আদালতে দায়েরকৃত রিটের স্থিতাবস্থার আদেশ উপেক্ষা করে তরপুরচণ্ডী মৌজার বিএস ৪৯৭৩ নং- জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ চলমান।

মৃত জহিরুল ইসলাম গাজীর ছেলে ইমরান গাজী গং বাদী হয়ে চাঁদপুর জেলা সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন, যার মোকদ্দমা নং- ১০/২০২৪। এর প্রেক্ষিতে গত ০৩/০৩/২৪ বিএস খতিয়ানের ৪৯৭৩ দাগে সকল সম্পত্তি সমস্ত প্রকার বেচাকেনা, হস্তান্তর এবং এর ওপর স্থিতাবস্থা প্রদান করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্রভাশালী মোঃ ইব্রাহীম গাজী প্রকাশ ইবু গাজী বহুতল ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছেন। মামলার বাদী পক্ষ ইমরান গাজী গং বলেন, এই সম্পত্তি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। মালিক আমি ও আরো ক'জন। ইবু গাজী আমাদের সম্পত্তি দখল করে রেখেছে, যাতে দখলদারদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ওই মহলটি স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। কথা হয় মোঃ ইব্রাহিম গাজী প্রকাশ ইবু গাজীর সাথে। তিনি জানান, এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। এখানে ৩০-৩৫ বছর দোকান ছিলো। ওই দোকান ভেঙ্গে দিনের আলোতে আমি মার্কেট করতেছি। ওদের দায়ের করা মামলায় অক্টোবরের ১৫ তারিখে হাজিরা রয়েছে।

শুধু ইবু গাজী নয়, আরো অনেকেই আদালতের স্থিতাবস্থা কার্যকরে দায়িত্বপালনকারী কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে যা ইচ্ছা তা-ই করতে দ্বিধা করে না। আর তার ওপর যদি রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় থাকে, তাহলে তো তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান মনে করে। আইনের খড়গ, আদালতের রায়, শাস্তি, সরকারের আদেশ-নিষেধ কিংবা সালিস ইত্যাদি সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করার দক্ষতার মধ্য দিয়ে তারা মোকাবিলা করে। চাঁদপুরে ভূমিদস্যুতার চক্র শহরে যেমন আছে, গ্রামেও আছে। বড়ো ড্রেজার দিয়ে চাঁদপুরের নদীতে বালুদস্যুতা চলার দুর্নাম যেমন আছে, জেলার আনাচেকানাচে মিনি ড্রেজার দিয়ে নীরবে-সরবে ভূমিদস্যুতার অনেক নজির আছে। সত্যি বলতে কি, বালুদস্যুতা ও ভূমিদস্যুতার বিরুদ্ধে যেসব অভিযান হয়, তা পর্যাপ্ত নয়। সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় পূর্বের ন্যায় সক্রিয় বা কার্যকর নয় বলে নদীতে বালুদস্যুতা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আছে বা রুখে দেয়ার মতো অবস্থায় আছে। কিন্তু ভূমিদস্যুতা? মনে হচ্ছে সেটা খুব নিয়ন্ত্রিত নয়। আমরা মনে করি, পর্যাপ্ত আইনি তৎপরতায় ভূমিদস্যুতাকেও রুখে দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়