প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০০
চাঁদপুরে অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছে
বিশ্বের যে কোন এক স্থানে চাঁদ দেথা গেছে এমন তথ্য নিশ্চিত হলেই রোজা থাকা, ঈদ উদযাপন করে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা। সেই আলোকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথর আজ বুধবার (১০ এপ্রিল ) ঈদ উল ফিতর পালিত হচ্ছে। হাজীগঞ্জের প্রায় ২০ টি গ্রামসহ জেলার অন্য সকল উপজেলার প্রায় ৫০ টি গ্রামসহ হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার ও চট্টগ্রামের মির্জাখিল দরবার শরীফের অনুসারীরা এদিন ঈদ উল ফিতর পালন করছেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের স্থানী্যরা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, প্রতাপপুর, শমেসপুর, বলাখাল, দক্ষিণ বলাখাল, নিলাম বলাখাল, মনিহার, বড়কুল, অলিপুর, উচ্চঙ্গা, বেলচোঁ, সেন্দ্রা, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলব উপজেলার মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েক গ্রামে বুধবার ঈদ উল ফিতর পালিত হচ্ছ।
এদিন (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০ টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা মাঠ, সকাল সাড়ে ৯ টায় সাদ্রা দরবার শরীফ মাঠ ও সকাল সাড়ে ৯ টায় সমেশপুর কেন্দ্রীয় ঈদ গাহ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯২৮ সাল থেকে হাজীগঞ্জের রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক চৌধুরী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা পালন উদযাপন শুরু করেন। এরপর থেকে চাঁদপুরের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষ রোজা ও দেশে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। তবে তারা বলছেন, সৌদিআরব নয়, চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করেই রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন।
এ বিষয়ে সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীরের ছেলে সাহেবজাদা ড. বাকী বিল্লাহ্ মিশকাত চৌধুরী জানান, সৌদিআরব নয়, এক দুনিয়া এক চাঁদ, এমন কারনে বিশ্বের যে কোন দেশে চাঁদ দেখার বিষ্যটি নিশ্চিত হলে এবং কোরআন ও হাদিসের আলোকে চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে আমরা রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে থাকি।