প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২১, ১৪:১১
খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াচ্ছেন যেভাবে
শুধু গরুর মাংস বা ঘি খেলে খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) বাড়ে না। আপনার কিছু অভ্যাসই বরং এর জন্য বেশি দায়ী। তালিকায় চোখ বুলিয়ে মিলিয়ে নিন নিজের ভুলগুলো।
|আরো খবর
নিয়মিত পরীক্ষা না করানো
খারাপ কোলেস্টেরল তথা এলডিএল বেড়ে যাওয়ার কোনও দৃশ্যমান লক্ষণ থাকে না। শরীরে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায় না। একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে হার্ট অ্যাটাক হলে তখন আর কিছু করারও থাকে না। তাই মাঝে মাঝে চেক করে দেখুন মাত্রাটা সীমার মধ্যে আছে কিনা। সাধারণ বয়স ২০ পেরোলেই ৪-৫ বছর পর পর একবার কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারিড পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
ব্যয়াম বাদ
ব্যয়ামকে পুরোপুরি না বলে দিয়ে যতই খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করুন, এলডিএল বাড়বেই। আর এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আপনাকে ম্যারাথন দৌড়াতে হবে না। দিনে ৪০ মিনিটের হাঁটা কিংবা সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালালেই হলো। তবে যারা ঘরের ভেতর নাচানাচি করেন, তাদের জন্য ১০ মিনিটের নাচই কোলেস্টেরলকে বাগে আনতে যথেষ্ট।
শুয়ে বসে কাটানো
বেশিক্ষণ শুয়ে থাকা বা একনাগাড়ে কম্পিউটারে কাজ করে গেলে বেড়ে যেতে থাকে ট্রাইগ্লিসারিড ও খারাপ কোলেস্টেরল। একইসঙ্গে কমে যায় ভালো কোলেস্টেরলও। ৩০ মিনিট পরপর অন্তত একবার উঠে বসুন। এক ঘণ্টা পরপর অন্তত ৫ মিনিট দ্রুত হেঁটে আসুন।
ধূমপান
ধূমপান করলে রক্তের ভালো কোলেস্টেরল কমে যায়। আর ধূমপান বাদ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধমনীতে জমতে শুরু করা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণও কমতে থাকে। নিজে ধূমপান না করলেও চেষ্টা করবেন অন্য ধূমপায়ীদের কাছ থেকে দূরে থাকার।
ওজন নিয়ে নির্ভাবনা
আপনার ওজনের বেশিরভাগটা যদি পেটের চারপাশে থাকে, আর সেটা নিয়ে যদি আপনি নির্লিপ্ত দিন কাটাতে থাকেন, তবে এলডিএলও চুপচাপ বেড়ে চলবে। ওজন অতিরিক্ত হলে অন্তত ১০ শতাংশ কমানোর চেষ্টা করুন।
ট্র্রান্স ও স্যাচুরেটেড নিয়ে মাথাব্যথা নেই
ট্রান্সফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় কারণ এতে আংশিক হাইড্রোজেনেটেড চর্বি থাকে। তালিকায় আছে ভাজাপোড়া, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, কুকিজ, চিপস, ডোনাট, প্যাস্ট্রি ইত্যাদি।
সব চর্বি বাদ
কোলেস্টেরল নিয়ে অতিমাত্রায় টেনশনে সব চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দেওয়াটাও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্যামন মাছ থেকে শুরু করে, অলিভ অয়েল, বাদাম, সূর্যমুখী বীজসহ আরও অনেক খাবারেই উপকারী তেল আছে, যেগুলো খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায় না, উল্টো শরীরের নানা কাজে আসে। তবে ভালো হোক খারাপ হোক, প্রতিদিনকার খাবারের ৩০ শতাংশের বেশি যেন চর্বি না হয়।
ফাইবারকে পাত্তা দিচ্ছেন না
ফাইবার দুই রকমের- দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়। দুটোই হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। তবে দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। তাই সকাল সকাল এক বাটি ওট, শিম কিংবা ডাল বা সবজি রাখুন।
সূত্র: ওয়েব এমডি