প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৩, ১৬:২৬
মতলবে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে বসতঘর ভস্মীভূত : আহত ৫
মতলব দক্ষিণ উপজেলার খর্গপুর গ্রামে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে পাঁচজন আহতসহ ওই বসতঘরটি ও মালামাল আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় ওই গ্রামের কামরুল ইসলামের ঘরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে । আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক রাতেই তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
|আরো খবর
এলাকাবাসর ও ফায়ার সার্ভিসসূত্রে জানা গেছে,২৩ মে মঙ্গলবার রাত পৌণে নয়টায় কৃষক কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম (৩৫) বসতঘরটির এক পাশে অবস্থিত রান্নাঘরে সিলিন্ডারের গ্যাসের সাহায্যে চুলায় খাবার গরম করছিলেন। রান্নাঘরের তাপে আচমকা বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হলে সেখানে আগুন ধরে যায়। ওই আগুন ছড়িয়ে পড়লে অল্প সময়েই মালামালসহ গোটা বসতঘরটি পুড়ে যায়।
এ সময় রান্নাঘরে থাকা রহিমা বেগম এবং বসতঘরে অবস্থান নেওয়া তাঁর স্বামী কামরুল হোসেন, ওই দম্পতির মেয়ে ফাহিমা আক্তার (২০) ও ফারিহা আক্তার (১২) দগ্ধ হন। পাশের ঘর থেকে আগুন নেভাতে এসে দগ্ধ হন কামরুল হোসেনের ভাতিজা মো. সজিব (১৯) । দগ্ধ ব্যক্তিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে জড়ো হন। বিষয়টি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করে জানানো হয়।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনস্থলে যাই এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বিস্ফোরণে দগ্ধ ওই পাঁচজনকে তাদের স্বজন ও প্রতিবেশীরা প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাঁরা তাদের চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে গতকাল রাতেই তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
কৃষক কামরুল হোসেনের জেঠাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে রহিমা বেগমের অবস্থা শঙ্কাজনক। তাঁর শরীরের ৫৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। বাকিদের শরীরেরও ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। একমাত্র বসতঘরটি পুড়ে যাওয়ায় ওই পরিবারটি এখন সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান বি এইচ এম কবির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ( নায়েরগাঁও দক্ষিণ) আব্দুস সালাম মৃধা মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।