প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর-ঢাকা লঞ্চের কেবিনে অবাধ অশ্লীলতা
দেড় বছরেও মিলেনি তরুণীর লাশের পরিচয়!
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর কেবিনে তরুণ-তরুণীর অশ্লীলতা যেন নিত্য সঙ্গী। লঞ্চে সিসি ক্যামেরা না থাকা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি না রেখে তরুণ-তরুণীদের কাছে কেবিন ভাড়া দেয়াই যেন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মূল কারণ। কেননা আব-এ-জমজম লঞ্চটির ২য় তলায় স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশের পরিচয় গত দেড় বছরেও শনাক্ত হয়নি।
|আরো খবর
১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ঘটনার দিন চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ওই লঞ্চটির ২৩৫নং স্টাফ কেবিনটি ৬শ’ টাকার বিনিময়ে এক তরুণ-তরুণী ভাড়া নেয়। অতিরিক্ত ভাড়া পাওয়ায় কোনো রকমের পরিচয়পত্র না রেখেই কেবিনটি ভাড়া দেন লঞ্চের গিজার সুজন মোল্লা, রাসেল খান ও মাসুম গাজী। এটি তাদের ব্যবহৃত কক্ষ ছিলো। পরবর্তীতে তালাবদ্ধ কেবিনটির তালা ভেঙ্গে তরুণীর পায়জামার ফিতা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করা লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশসহ পুলিশের একাধিক টিম।
জানা যায়, ওই নারীর ডিএনএ টেস্ট, ফিঙ্গার প্রিন্ট কিংবা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করার কথা থাকলেও নৌ পুলিশ এখনো তার পরিচয় জানতে পারেনি বলে ওই ঘটনার তদন্ত কাজ এগোয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা লঞ্চগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসাতে নানা সময়ে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আব-এ-জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারদের কেবিনে অজ্ঞাত ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার হলেও কেউ ওই সময় তরুণীর খোঁজ নিতে আসেনি। আর ওই লাশের সন্ধান না পাওয়ায় মামলার তদন্ত কাজও এগিয়ে নিতে দেরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগেও ওই তরুণীর লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি বিষয়টা এমন নয়। আমরা যদি ওই তরুণীর পরিচয় পেতাম তাহলে মামলাটির তদন্ত কাজে আরো অগ্রগতি হতো। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে যদি বিষয়টি তুলে ধরেন তাহলে হয়তো তরুণীর পরিচয় পাওয়া যেতে পারে। যদি কেউ এ অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় জেনে থাকেন তাহলে দ্রুত চাঁদপুর নৌ থানায় এসে যোগাযোগের আহ্বান রইলো।