প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২২, ১৫:১৮
বাংলাদেশ দূতাবাসের সতর্কতা
ইতালিতে অ্যামবাসি অব বাংলাদেশের ভুয়া কর্মকর্তা সেজে ইমুতে কল দিয়ে প্রবাসী এক বাংলাদেশির ইমু হ্যাক করে প্রতারক চক্র ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার ২৫ আগষ্ট ইতালি সময় আনুমানিক বিকাল ৪ টায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
|আরো খবর
জানা গেছে, ঘটনার দিন প্রতারক চক্র অ্যামবাসি অব বাংলাদেশ (মোবাইল ডিসপ্লে) ইমুতে কল দিয়ে বলে আপনার প্রবাসী কল্যান কার্ডটি প্রস্তুত হয়ে গেছে। আপনি কার্ডটি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে সংগ্রহ করতে পারেন। কথার একপর্যায়ে তারা সুৃমনের সরাসরি মোবাইল নাম্বারে ফোন দিয়ে নিশ্চিত করে ইমু নাম্বারটি। এর কিছুক্ষণ পরই তার ইমু অকার্যকর হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে সুমন বলেন, অ্যামবাসি অব বাংলাদেশ লেখা নাম্বার থেকে ইমুতে ফোন করে জানান, বাংলাদেশ সরকারের নিযম প্রবাসী কল্যাণ কার্ড করতে হবে। স্যার আপনার কার্ডটি ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে। সরকার এই কার্ডটি দিচ্ছে এর কারন এই কার্ড বাংলাদেশ গেলে বিমান বন্দরে প্রয়োজন হবে। আপনি যেকোনো সময় দূতাবাসে গিয়ে কার্ডটি তুলে আনতে পারবেন। সুমন বলেন, এরই মধ্যে হ্যাকার চক্র আমার স্ত্রীর কাছ থেকে দুইবারে পঞ্চাশ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে যায়। আমার অন্যান্য বন্ধু,আত্বীয়,পরিবার- পরিজন সবাইকে আমার অনেক বিপদ এ কথা লিখে টাকা পাঠাতে বলেন হ্যাকার চক্র। একই সঙ্গে আমার হয়ে আমার স্ত্রীর সাথে কথোপকথনে তারা আমার স্ত্রীকে বলেন,আমার মুখে মাস্ক নেই আমাকে পুলিশ ধরেছে মুক্তি পেতে টাকা লাগবে। আবেগে আপ্লুত ম্যাসেজ পাঠিয়ে আমার স্ত্রীর পরিবারকে দূর্বল করে এর ফলে ঘটনাটি বিশ্বাস না করার কোন রকম উপায় ছিলনা। তিনি সবাইকে সাবধান হতে পরামর্শ দেন। এবং নিশ্চিত না হয়ে কেউ যেন ভবিষ্যতে এরকম বোকামী না করে। তিনি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রবাসীদের স্বার্থে।
এর আগে নাদিম মাহমুদ নামে আরেক বাংলাদেশিকে ফোন দিয়ে এ ধরনের কথা বলার পর নাদিম বুঝতে পেরে প্রতারক চক্রকে অকথ্য ভাষায় বললে তারা ফোন কেটে দেন। এছাড়াও আরও কয়েকজন ইতালি প্রবাসী এ চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হন। এর ফলে দিনদিন এ চক্রটি আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে রোম বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা জানান,প্রবাসী কল্যান কার্ডের জন্য অনলাইনে ফরম পূরন করে দূতাবাসে এসে জমা দিতে হয়। এর দুই সপ্তাহ পর দূতাবাসে এসে চল্লিশ ইউরোর রিসিট জমা দিলে কার্ডটি প্রদান করা হয়। তবে কেউ যদি বিশেষ অনুরোধ করে সেক্ষেত্রে আমরা আবেদনকারীর নির্বাচিত ইমেইলে কার্ডটি প্রেরণ করে থাকি।আর এই কার্ডটি পেতে দূতাবাস কাউকে সরাসরি ফোন দেয়না। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ভুল না করে সেজন্য সকল ইতালি প্রবাসীকে তিনি সতর্ক থাকার আহবান জানান।