শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ০৮:৩৮

এমন জনদুর্ভোগ লাঘবে কিছু করা জরুরি

কাজী শাহাদাত
এমন জনদুর্ভোগ লাঘবে কিছু করা জরুরি

আমাদের দেশে মে-জুন মাসে বর্ষা মৌসুমের প্রাক্কালে বৃষ্টিপাত শুরু হলে ভালো রাস্তাও খারাপ হয়ে যায়, আর খারাপ রাস্তার পরিণতি হয় বর্ণনাতীত। আর এ সময় যদি কোনো রাস্তা নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, মেরামত বা সংস্কারের কাজ এবং ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়, তাহলে ঠিকাদার যেমন ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়, তেমনি সাধারণ মানুষ পড়ে চরম দুর্ভোগের মাঝে। যারা এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দেন, তারা নিশ্চয়ই আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস নিয়ে সেটি করেন না। যার ফলে ঠিকাদার কাজ শুরুতে গিয়ে বিরূপ আবহাওয়া অর্থাৎ অতি বৃষ্টিপাতের সম্মুখীন হলে কাজ শেষ করার সময়সীমা বৃদ্ধির অজুহাত পেয়ে যায় এবং আবেদন ঠুকে দিয়ে উক্ত সময়সীমা বাড়িয়ে কাজে ধীরগতি অবলম্বনের পথে পা বাড়ান। এতে উপকারভোগী বা উপকার প্রত্যাশীরা যে কতোটা অপকার/ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয় তার প্রমাণে গত রোববারে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় শীর্ষ সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত সংবাদটিই যথেষ্ট।

‘ফরিদগঞ্জে ড্রেন ও সড়ক নির্মাণে ধীরগতি ॥ জনদুর্ভোগ চরমে’ শীর্ষক সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জ শহরের কাঁচাবাজার সড়কের ড্রেন নির্মাণ এবং গুরুত্বপূর্ণ কালিরবাজার সড়কের নির্মাণ কাজ ও পানি সরবরাহ লাইন নির্মাণজনিত কারণে চরম দুরবস্থার শিকার ফরিদগঞ্জ পৌরবাসী ও ব্যবসায়ীরা। একে তো নির্মাণ কাজে ধীরগতি, অপরদিকে এর সাথে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে পুরো সড়ক ও বাজার এলাকা খানাখন্দকে একাকার হয়ে আছে। এ অবস্থায় মানুষকে খুব দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের অভিমত হচ্ছে, নির্মাণ কাজগুলো বর্ষার পূর্বে সম্পন্ন করলে মানুষজনকে এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। কাঁচাবাজার তথা উত্তর গলির ব্যবসায়ীরা গত ১৫-২০ দিন ধরে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওই এলাকার অধিবাসীদের এখন সাঁকো দিয়ে ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে।

সংবাদটিতে যে ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি দেখলে পাঠক/দর্শক মাত্রেরই জনদুর্ভোগ উপলব্ধিতে কোনো কালক্ষেপণ করার প্রয়োজন পড়ে না। এ ছবিতে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ শহরে কাঁচা বাজার সড়কে নির্মাণাধীন ড্রেনের কারণে দোকান/বসতঘরের সামনে শুধু পরিখা তৈরি হয়নি, এগুলো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। সেজন্যে বাঁশের সাহায্যে ঠেক দিয়ে রাখতে হয়েছে দোকান/বসতঘরকে। আর স্তূপীকৃত কর্দমাক্ত মাটির কারণে সম্মুখস্থ সড়কে চলাচল করাটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

ফরিদগঞ্জ শহরে কাঁচাবাজার সড়কে ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং থানার মোড় থেকে কালিরবাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার/পুনঃনির্মাণের কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এ দুটি বিভাগের কারো মনিটরিংয়ের অভাবে ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করেছে, না বিলম্বে শুরু করেছে, না ধীরগতিতে করছে সেটি তদন্ত করে বের করা দরকার। সাথে সাথে এ দুটি কাজের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে কিছু করা যায় কিনা সেটি ভেবে দেখা দরকার বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়