প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২১, ২০:০০
আবেগ-অনুভূতিতে চাঁদপুর কণ্ঠ
‘কত অজানারে জানাইলে তুমি
|আরো খবর
কত ঘরে দিলে ঠাঁই
দূরকে করিলে নিকট বন্ধু
পরকে করিলে ভাই’অজানাকে জানা ও চেনার অদম্য তৃষ্ণা মানুষের। সেই তৃষ্ণা মেটানোর আদি ও আসল মাধ্যম সংবাদপত্র। নদীবিধৌত জনপদ চাঁদপুরেও ঠিক তেমনি সংবাদের জগতে আলোকবর্তিকা বহন করে চলা একটি সংবাদপত্রের নাম ‘দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ’। হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৮ বছরে পদার্পণ করেছে পত্রিকাটি। চাঁদপুরের সংবাদ জগত ও সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত নাম হয়ে ওঠা এই পত্রিকার সাথে সবারই কম-বেশি স্মৃতি কিংবা ঘটনা জড়িত আছে বলে মনে হয়।
যখন থেকে একটু একটু করে পত্রিকা পড়া শুরু করি তখন থেকেই মূলত চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে আমার পরিচয়। বাসায় পত্রিকা আনলেই সবার আগে শব্দখেলা, ইতিহাসের তথ্য এগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মনযোগী বালকের মতো পড়তাম। এভাবে খেলা আর মজার ফাঁকেই সখ্যতার গল্প শুরু।
কয়েক বছর আগে নিয়মিত হাঁটতে বের হতাম খুব ভোরবেলা। হাঁটা শেষ করে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গণেশ দা’র হাতে এক কাপ চা খেতাম। আর তখনই গণেশ দা হাতে ধরিয়ে দিতেন চাঁদপুর কণ্ঠ। একসময় এমন অভ্যাস হলো যে চাঁদপুর কণ্ঠ ছাড়া আমার চা খাওয়াই হতো না। কোনো কারণে পত্রিকা বন্ধ থাকলে সেদিন আর চা খাওয়া আনন্দদায়ক মনে হতো না!
২০১৪ সালের কথা। আমি জেলা প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে যোগদান করি। যোগদানের পরের দিন চাঁদপুর কণ্ঠে নিজের ছবি ও বিস্তারিত পরিচিতিসহ চাঁদপুর কণ্ঠে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখে অত্যন্ত ভালো লাগা কাজ করেছিলো। এভাবেই চাঁদপুর কণ্ঠ ব্যক্তিগত অনেক আবেগ-অনুভূতির সাথে জড়িয়ে আছে। তাছাড়া বর্তমানেও চাঁদপুর কণ্ঠে প্রায়ই আমার কবিতা ছাপা হয়, যা খুবই ভালো লাগে।
মানুষের সাথে মানুষের, জনপদের সাথে জনপদের, সংবাদের সাথে মানুষ ও জনপদের সেতুবন্ধন রচনা করার এক মহান ব্রত নিয়ে আজও এগিয়ে যাচ্ছে ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’। সত্য, ন্যায় ও নিরপেক্ষতার মশাল জ্বালিয়ে সবার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবে এই পত্রিকা এমনটাই প্রত্যাশা করি। চাঁদপুরের মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে কথা বলবে চাঁদপুর কণ্ঠ, কথা বলবে হৃদয়ের স্পন্দন হয়ে, বিবেকের মুখপাত্র হিসেবে। আগামীদিনে সংবাদপত্রের জগতকে আরও সমৃদ্ধ করুক আমাদের সবার প্রিয় চাঁদপুর কণ্ঠ।