প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা জনশক্তি অফিসে প্রবাসীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধনে চরম ভোগান্তি
চাঁদপুর জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসে করোনা ভ্যাকসিন প্রাপ্তিতে নিবন্ধন করতে এসে খুবই ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশগামীরা। এতে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে অনেক বিদেশযাত্রীর। এরই মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, আবার কারো ফ্লাইটের তারিখও চলে যাবে। এমন আশঙ্কায় লকডাউন ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিবন্ধন করতে আসা বিদেশগামীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সার্ভার জটিলতার কারণে এ ভোগান্তি বলে জানা গেছে।
|আরো খবর
জানা গেছে, বিদেশগামীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে সরকারি নির্দেশনায় প্রতি জেলায় জনশক্তি অফিসে শুক্রবার থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ৯টায় নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও হঠাৎ ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএমসি সার্ভারে দেখা দেয় জটিলতা। এ কারণে শুক্রবার চাঁদপুর অফিস থেকে মাত্র একজনের নিবন্ধন হয়েছে। গতকাল শনিবারও একই জটিলতা দেখা দেয়। পরে অবশ্য সার্ভার সচল হওয়ায় গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত বিদেশ গমনেচ্ছুক প্রায় দুইশ’ যাত্রীর নিবন্ধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, যারা বিকাশে ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে পে করেছেন তাদের পাসপোর্ট ও ভিসার কপি দিয়ে সার্ভারে নিবন্ধন করা হচ্ছে। সাথে ফিঙ্গার প্রিন্টও করা হয়।
গতকাল সকাল থেকে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির নিবন্ধন করতে শত শত প্রবাসী ভিড় করেন শহরের স্টেডিয়াম রোডস্থ জেলা জনশক্তি অফিসের সামনে। তখন সেখানে উপস্থিত বিদেশগামীদের মধ্যে শুরু হয় হট্টগোল। এমন পরিস্থিতি দেখে সেখানে সদর ইউএনওর উপস্থিতিতে লকডাউনে ডিউটিরত সেনাসদস্যরাও উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদও যান সেখানে এবং প্রয়োজনে পুলিশ ফোর্স থাকবে বলে জানান।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে, অনেকের চলতি মাসেই ফ্লাইট। কীভাবে নিবন্ধন করবেন, কতদিনের মধ্য টিকা পাবেন। অনেকের চাকরি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। তাই তারা টিকা ও ফিঙ্গার প্রিন্টের জন্যে জনশক্তি অফিসে জড়ো হয়েছেন। এ সময় তথ্য জটিলতায় টিকা নিতে আসা প্রবাসীরা তাদের বহুমুখী ভোগান্তির কথা জানান। প্রবাসীরা বলেন, রেজিস্ট্রেশন অফিসের কোনো ব্যবস্থাপনাই ঠিক নেই। একজনের কাছে গেলে অন্যজনকে দেখিয়ে দেন। তিনি আবার আরেকজনের কাছে যেতে বলেন।
জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে সরকার নির্ধারিত করোনা ভ্যাকসিন ও ফিঙ্গার প্রিন্ট ফি মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ এবং শিওর ক্যাশে জমা দিতে গিয়েও চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিদেশ গমনেচ্ছু শত শত ব্যক্তি। এর কারণ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদানে সার্ভিসগুলোর সার্ভারে ত্রুটি, স্বাভাবিক না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিস থেকে দেয়া পাসপোর্টের নম্বর সঠিক সময়ের মধ্যে অনলাইন ডাটা এন্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত না করা।
এ ধরনের সমস্যাগুলোর কারণে একজন বিদেশ গমনেচ্ছুকে নানাভাবে হয়রানি ও দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে।