প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬
এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতরা
সুচিকিৎসার অভাবে এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আহতরা। দেশের অবস্থা বিবেচনায় উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে কিছুটা সময় লাগলেও আশাবাদী তারা। যদিও অনুযোগ অভ্যুত্থানের তিন মাসেই হামলা ও হত্যার অনেকটাই ভুলতে বসেছে ছাত্র-জনতা। তাই আহ্বান বিভক্তি নয় বরং বারবার স্মরণ করতে হবে ২৪ এর ফ্যাসিস্ট বিরোধী চেতনাকে।
|আরো খবর
উত্তাল জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ হবার পর চ্যানেল 24 এ প্রচারিত নিজের সংবাদটি মুঠোফোনে দেখাচ্ছিলেন জাকির। তিনি বলেন, ‘কয়েক হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে চিকিৎসা মিললেও হয়নি শেষ রক্ষা। সঠিক সময় চিকিৎসার অভাবে আজ আমি পা হারা।’
নিজ অবস্থার সাথে দেশের তুলনা করে জাকির তুলোধুনো করেন স্বৈরাচারী শক্তিকে। বিভক্তি এড়াতে তাই বারবার জুলাই বিপ্লব স্মরণ করতে চান। তিনি বলেন, 'তারাতো সব শেষ করে দিছে, আমরা চেষ্টা করছি সব যাতে ঠিক হয়।’
আত্মত্যাগের বাস্তবতায় কিছুটা ক্ষোভের মরিচা পড়েছে স্বপ্নীল আকাশে। সরকারি সহায়তা না মেলায় ধারকর্যে হাসপাতালে দিন কাটছে জাকিরের। তিনি বলেন, আমার জায়গায় আমার ১৬ বছরের ভাই কাজ করে সংসার চালায়।
তার মতে, অভ্যুত্থানের তিন মাসেই ফ্যাসিস্টের নৃশংসতা ভুলতে বসেছে ছাত্র-জনতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষণিকের আফসোস থাকলেও অঙ্গহানির এ যাত্রায় সঙ্গী নয় কেউ। অনেকেই ছবি দেখে আফসোস করে, কিন্তু কখনও একটু জানতে চায় না কেমন আছি।
হারানোর ব্যথা ছাপিয়ে যায় সবটা, তবু নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন আহতরা। তাদের আহ্বান রাষ্ট্র ও জনস্বার্থে এক হবার।
তথ্যসূত্র : চ্যানেল ২৪