শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ২১:৩৭

হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের গলদঘর্ম

কামরুজ্জামান টুটুল, হাজীগঞ্জ ব্যুরো চীফ
হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের গলদঘর্ম
হাজীগঞ্জ লকডাউনকে কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্ব পালনের খন্ডচিত্র। ছবি : কামরুজ্জামান টুটুল

হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশকে সারাদিন গলদঘর্ম হতে হয়েছে। ২৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউনে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে বাজার এলাকা থাকলেও বাজারের বাইরে সড়ক মহাসড়কে চলেছে সিএনজি স্কুটার,অটোরিক্সাসহ সকল ধরনের পরিবহন। তবে বন্ধ ছিলো যাত্রীবাহী সকল ধরনের বাস। বিশেষ করে কচুয়া সড়ক হয়ে লক্ষীপুরগামী প্রচুর প্রাইভেটকারকে বুঝাতে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। এদিকে একই দিন মাস্ক না পরার কারনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন করেন।

সরজমিনে হাজীগঞ্জের চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কসহ হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়ক ঘুরে দেখা যায়, পুলিশের চেকপোস্ট থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়েছে সিএনজি স্কুটারগুলো। বিশেষ করে সিএনজি স্কুটারগুলো ছিলো অনেকটাই বেপরোয়া। এদিন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার বাকিলা বাজারের স্কুল গেইটের সামনে ছিল সিএনজি স্কুটারের দীর্ঘ লাইন,যাত্রী ছিলো ভরপুর। কৈয়ারপুল, বলাখাল বাজার এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে।

হাজীগঞ্জ বাজারসহ বাকিলা বাজার,বলাখাল বাজার মিলিয়ে সকল খাবার হোটেল খোলা ছিল। লকডাউনের মধ্যে এদিন দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের সামনে প্রাইভেট কার ও সিএনজি স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ যাত্রী মারাত্বক আহত হয়েছেন।

লকডাউনকে কার্যকর করতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ ছিলো কঠোর অবস্থান ছিল চোখে লাগার মতো। এদিন ভোর থেকে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের সকল মুখে ছিল পুলিশের চেকপোস্ট। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ সেতুর দক্ষিণ মাথায় রামগঞ্জ সড়কে ছিলেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ পিপিএম, হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার মান্নান ফিলিং স্টেশানের সামনে ছিলেন অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ, হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড চৌরাস্তা ছিলেন ওসি (তদন্ত) খলিলুল রহমান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সামনে মিলিয়ে চেকপোস্ট বসানো হয়। এ সময় সকল চেকপোস্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাগণসহ সঙ্গীয় ফোর্স সিএনজি স্কুটারসহ অন্ যসকল গাড়িকে বুঝিয়ে কিংবা ঘুৃরিয়ে দিতে দিনভার গলদঘর্ম হতে হয়েছে। পুলিশের জন্য যা ছিলো রীতিমতো কষ্টকর আর পীড়াদায়ক। বিশেষ করে গৌরিপুর-কচুয়া, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়ক হয়ে ঢাকা থেকে রামগঞ্জমুখী প্রচুর প্রাইভেট কার চলাচল সামলানোকে ছিল পুলিশের জন্য আরেক সমস্যা। এতোসব ডিঙ্গিয়ে হাজীগঞ্জ বাজরে নেহাত কম মানুষের আনাগোনা একেবারে কম হয়নি। এর মধ্যে ৩০/৩৫ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেনি।

এদিকে একই দিন দুপুরে বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সরাসরি লকডাউন কার্যকর করতে সরজমিনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এরপরেই তিনি মাস্কহীনদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন। আদালত এ সময় মাস্ক না পরার দায়ে ৬ জনকে ২৫’শ টাকা জরিমানা করেন।

এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আকতার হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় ছাড়া কোনো দোকান খোলা আছে কিনা তা পরিদর্শন করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়