শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর-ঢাকা নৌরূটের লঞ্চ মালিকদের অবাধ খামখেয়ালিপনা

যাত্রী কম হলেই সিডিউল মোতাবেক লঞ্চ ছাড়ে না

উজ্জ্বল হোসাইন
যাত্রী কম হলেই সিডিউল মোতাবেক লঞ্চ ছাড়ে না

ঢাকা-চাঁদপুর, চাঁদপুর-ঢাকা ব্যস্ততম একটি নৌরুট। প্রতিদিন এই রুটে অনেক যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে। ঢাকা ও চাঁদপুরের অনেক চাকরিজীবী প্রতিদিনই এই রুটে যাতায়াত করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজধানী অভিমুখী হয়ে থাকেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ পাবার আশায় প্রতিদিনই যাত্রীসাধারণ লঞ্চঘাটে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু ঘাটে এসে শুনতে পান, ৫টা ৪০ মিনিটে লঞ্চ ছাড়বে না, ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। তখন যাত্রীদের কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বাবুরহাট থেকে সড়ক যোগে চলে যান। আবার কেউ কেউ বাধ্য হয়ে পরের লঞ্চে যেতে হয়। ৩০ আগস্ট শুক্রবার চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এসে দেখা যায়, ৫টা ৪০ মিনিটের লঞ্চ ছেড়ে যায়নি, সেটি পরে ৭টা ২০ মিনিটে ছেড়ে গেছে এবং সকাল ৮টার লঞ্চ ৯টায় ছেড়ে গেছে।

প্রতিদিন এই রুটে ২৩টি লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর থেকে প্রতিদিন প্রথম লঞ্চ সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে এবং সর্বশেষ লঞ্চ রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার টাইম সিডিউল রয়েছে। সেমতে কখনো ৩০ মিনিট, ৪০ মিনিট বা এক ঘন্টা বিরতিতে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সিডিউল মানা হচ্ছে না।

এমনিতেই সড়কে যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকার কারণে ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে যাত্রী অনেক কমে গেছে। তারপর লঞ্চ মালিকদের এ রকম খামখেয়ালিপনায় সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়ছেন। অনেকের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে।

যাত্রী সাধারণের প্রশ্ন একটাই, নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ চলুক বা না চলুক--এটি যদি একান্তই তাদের ব্যক্তিগত হয়ে থাকে, তাহলে সিডিউলের কী দরকার? এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিক ও কর্মচারীদের রয়েছে নানা অজুহাত। সোনার তরী লঞ্চের একজন স্টাফকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, যাত্রী কম থাকার কারণে ৮টার লঞ্চ ৯টায় ছেড়ে যায়।

৭টা ২০ মিনিটে যাওয়ার জন্যে ঘাটে আসা এক যাত্রী জানান, আমি বিদেশ যাবো। সেজন্যে লঞ্চঘাটে এসেছি ঢাকা যাওয়ার জন্যে। এসে দেখি লঞ্চ ৯টায় ছাড়বে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সড়ক পথে চলে যাচ্ছি। কারণ সময়মত পৌঁছতে না পারলে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এভাবে শুধু তিনিই নন, আরো অনেক মানুষ লঞ্চ সঠিক সময়ে না ছাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানান, সকাল ৫টা ৪০ মিনিটে লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও ছেড়ে যায়নি।

এ বিষয়ে পোর্ট অফিসারকে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তবে বিষয়টি আমার না। এই বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক বলতে পারবেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ উপ-পরিচালক বশির আহমেদের ০১৭১১১৮৫২৯৬ নাম্বারে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়