প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
সরগরম চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাট
ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম নিরাপদ করতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে চাঁদপুরে মেঘনা নদীর তীরে মৎস্য আড়তগুলো। ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই সাগর ও নদীতে নেমেছে হাজার হাজার জেলে।
|আরো খবর
জেলেদের আহরিত ইলিশ ও বিভিন্ন মাছ বোঝাই করে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে আসছে ইলিশের বাণিজ্যিক বন্দর খ্যাত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে। ভোর থেকে হাঁকডাকে আবারও মুখর হয়ে উঠেছে নদীর পাড়ের মৎস্য আড়ত ও চাঁদপুর ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র। আড়তদাররা জেলে ও বেপারীদের নিয়ে আসা ইলিশগুলো স্তূপ করে সাজাচ্ছেন। পাইকার ডাক উঠানোর পরে খুচরা ও পাইকারী ক্রেতারা এসব ইলিশ ক্রয় করছেন।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শবেবরাত সরকার জানান, মা ইলিশ রক্ষা অভিযান শেষে মাছ ধরার প্রথম দিনে ঘাটের বিভিন্ন আড়তে ৫ থেকে ৬ মণ ইলিশের আমদানি হয়েছে। যার অধিকাংশ ছোট মাছ। দামও আগের তুলনায় কেজিতে দেড়-দুইশ’ টাকা কমেছে।
তিনি বলেন, যে সকল জেলে নদী সমুদ্র মোহনায় মাছ শিকার করে, তাদের আহরণ করা ইলিশ আমদানি হওয়ার কারণে মাছঘাট এখন সরগরম। তবে ক’দিন সময় অতিবাহিত হলে বুঝা যাবে নদীতে ইলিশের বিচরণ কম না বেশি।
তিনি এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বিষয়ে বলেন, সফলতা শতভাগ হয়নি। কিছু সফলতা তো আছেই। প্রশাসন যথেষ্ট চেষ্টা করেছে।
মাছঘাটের ব্যবসায়ী আঃ খালেক বেপারী বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর যে পরিমাণ ইলিশ আড়তে এসেছে, তাতে দাম কিছুটা কমেছে। অভিযানের সময় চাঁদপুরের নদীতে মাছ কম থাকার কারণে স্থানীয় জেলেরা তেমন নামেনি। তার মতে, মা ইলিশ সংরক্ষণে সরকার সফল। স্টকে মাছ রাখার সুযোগ কম পাইছে। এবার দেখা যাচ্ছে কিছু মাছ ডিম ছাড়ছে, কিছু মাছের ডিম রয়ে গেছে।