প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২১, ০৪:২৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তালা ভেঙেছে প্রশাসন, নীরব শিক্ষক সমিতি
কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছেন আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আসিফ নজরুল কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গতকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন।
|আরো খবর
গত বুধবার বিকেলে তাঁর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তিনটি তালা লাগিয়ে দেন। এ ঘটনার পর গতকাল তালা ভেঙে কার্যালয়টি আইন বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া কার্যালয়ের বাইরে আসিফ নজরুলের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের লাগানো পোস্টারও অপসারণ করা হয়েছে।
অধ্যাপক আসিফ নজরুল গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে জানান, বুধবারের ঘটনার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে তিনি একটি লিখিত আবেদন দিয়েছেন। তবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়নি।
আইন বিভাগের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তালা লাগানোর ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং বিএনপি–জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া বা বিবৃতি জানায়নি।শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি প্রশ্নবিদ্ধ। এটি দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বিক্ষুব্ধ হয়ে তালা দেওয়ার কাজটি করেছে। তবে এটি না করে তারা যদি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার চাইত, তাহলে ভালো হতো।’
এদিকে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলও ওই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। সাদা দলের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান গতকাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কতটা মনোযোগ দেয়, তা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করছি, কর্তৃপক্ষ এই পরিস্থিতি স্মার্টলি হ্যান্ডেল করবে ও শিক্ষকের পক্ষে থাকবে।’