বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৪

মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের কাল স্টেকহোল্ডার মিটিং

সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা -চাঁদপুর সদরের দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার

মাহবুব আলম লাভলু
সেতু নির্মাণ হলে ঢাকা -চাঁদপুর সদরের দূরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার

আগামী মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর)মেঘনা-ধনাগোদা নদীর উপর মতলব উত্তর (জামালপুর)-গজারিয়া (ভবেরচর) সড়কে সেতু নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের স্টেকহোল্ডার মিটিং । মতলব উত্তর উপজেলার কালিপুর বাজার সংলগ্ন পাম্প হাউজ মাঠে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। এ মিটিংয়ে সভাপতিত্ব করবেন সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল এমপি।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মাস্টারপ্লান প্রণয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. লিয়াকত আলী স্বাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে। এ সভায় উপস্থিত হয়ে মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার মধ্যে অবস্থিত মেঘনা ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু হলে ঢাকা থেকে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার কমে আসবে। ঢাকা থেকে গৌরীপুর-মতলব উত্তর উপজেলা ও চাঁদপুর জেলা সদরে বর্তমান দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। কিন্তু ঢাকা থেকে ভবেরচর হয়ে গজারিয়া উপজেলার সীমানার ওপর দিয়ে প্রস্তাবিত সেতু হলে চাঁদপুর জেলা সদরের দূরত্ব সর্বোচ্চ ৬৮ কিলোমিটার হবে। ফলে দুরত্ব কমবে ৫২ কিলোমিটার।

মতলব উত্তরের কালীপুর ও গজারিয়ার ভবেরচরের মধ্যে অবস্থিত ধনাগোদা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু আজও সেতু নির্মাণ হয়নি। এই সেতুটি না থাকায় মতলব উত্তরের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পথে যাতায়াত করেন। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই।

সূত্রে জানা যায়, নদীকে বাচাতে নদীর দুই পাড়ে দুটি প্রধান পিলার নির্মাণ করা হবে। নদী বক্ষ থেকে ৩০ মিটার উচু দৃষ্টি নন্দন ঝুলানো তার ব্রিজটি চার লেইনে নির্মান করা হবে। এটিই হবে বাংলাদের প্রথম দীর্ঘ তার ঝুলানো ব্রিজ। যা আলোকিত অবস্থায় ৭০-৮০ কিলোমিটার দূর থেকে দৃশ্যমান হবে। নির্মিত হলে এটি দেশের সর্ববৃহৎ তার ঝুলানো সেতু হিসাবে পরিচিতি পাবে।

মূলত, সর্বোচ্চ কম খরচে সেতুটি নির্মাণ এর জন্য প্রাথমিক নকশা চুড়ান্ত করা হয়েছে। নদীর সবচেয়ে কম প্রশস্ত এলাকা চিহ্নিত করে নকশা প্রনয়ণ করা হয়। এছাড়া বসতবাড়ি যাতে কম ভাঙা পরে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই নকশা প্রনয়ণ হয়েছে। জানা যায়, উল্লেখিত নকশা অনুযায়ী বসতবাড়ি কম ভাঙা পড়বে।

আরো জানা যায়, তিনটি রিজিওনাল সেতুর নকশা প্রনয়ণ এর জন্য বৈঠকে বসলেও এ সেতুটি নির্মাণ এর নকশাটি সবার আগে চুড়ান্ত করা হয়।

মতলব ও গজারিয়ার মেঘনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে শুধু চাঁদপুরই নয়, সড়কপথে বৃহত্তর নোয়াখালীর লক্ষীপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন দ্রুত সময়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সিলেটে পৌঁছতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়