প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ২৩:৪০
আজ পবিত্র ঈদুল আজহা
আজ মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। করোনাভাইরাস ঝুঁকির মধ্যে দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ এ ধর্মীয় উৎসব।
|আরো খবর
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে গত বছরের মতো এবারও হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও। তবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে এবার ঈদের ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে ঈদ জামাতের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছে কর্তৃপক্ষ।
চাঁদপুর শহরে কখন কোথায় ঈদের জামাত
কালেক্টরেট জামে মসজিদ সকাল : ৭টায়;
পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদসকাল : ৭টা ৩০ মিনিট;
চৌধুরী জামে মসজিদসকাল : ৭টা ৩০ মিনিট;
ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদ সকাল : ৭টা ৩০মিনিট ;
চাঁদপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সকাল : ৮টায়;
ঐতিহাসিক পুরাণবাজার জামে মসজিদসকাল : ৭টা ৩০ মিনিট;
মসজিদে গোর-এ-গরিবা কমপ্লেক্সে সকাল : ৭টায়;
চিশতিয়া জামে মসজিদসকাল : ৮টায় (১ম) ৮টা ৪৫ মিনিটে (২য়);
চেয়ারম্যান ঘাটা বায়তুল আমান জামে সকাল : ৭টায়;
বড় স্টেশন জামে মসজিদ সকাল : ৭টা ৪৫ মিনিট;
বাবুরহাট জামে মসজিদ সকাল : ৮টায়;
বাইতুল আমীন রেলওয়ে জামে মসজিদ সকাল : ৭টা ৩০ মিনিট
কোড়ালিয়া কিতাবউদ্দীন জামে মসজিদ সকাল : ৭টা ৩০ মিনিট
শর্তসাপেক্ষে ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় করা যাবে
করোনা পরিস্থিতিতে ঈদুল ফিতরে খোলা মাঠ বা ঈদগাহে নামাজ আদায় করার অনুমতি দেয়নি সরকার। তবে এবার শর্তসাপেক্ষে ঈদুল আজহার নামাজ ঈদগাহে আদায় করার অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ১৩ জুলাই ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঈদের জামাত আদায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ১২ নির্দেশনা
১) করোনা সংক্রমণের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ নাকি ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঈদের নামাজ আদায়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
২) মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৩) প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদ/ঈদগাহে আসতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪) করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকল্পে মসজিদ ও ঈদগাহে ওজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৫) মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/ হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।
৬) ঈদের নামাজের জামাতে আগত প্রত্যেক মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭) ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৮) শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিতদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
৯) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১০) ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে।
১১) করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে এবং ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
১২) খতিব, ইমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক নির্দেশনাগুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসব নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।