প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২২, ১২:৪৮
৩ দিনের ছুটি শেষে লঞ্চে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের ভিড়
বৃহস্পতিবার ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জম্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস, ১৮ মার্চ শুক্রবার পবিত্র শবেবরাত, ১৯ মার্চও সরকারি বন্ধের দিন। টানা তিনদিনের ছুটিতে হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থল থেকে বাড়ি এসেছিল। ছুটি শেষে তাদেরই আবার কর্মস্থলে ফেরা। এ কারনে এর প্রভাব পড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চসহ বিভিন্ন গণপরিবহনে। শনিবার ও রোববার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বেশ ক'টি লঞ্চ চলাচল করেছে চাঁদপুর-ঢাকা নৌরুটে। ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড় সামলাতে হিমশিম অবস্থা চাঁদপুর লঞ্চঘাট সংশিষ্টদের।
|আরো খবর
ধারণ ক্ষমতার তিনগুন যাত্রী বহন করে ইমাম হাসান ঢাকার উদ্দেশ্য রওনা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রীদের মধ্য আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় লঞ্চ চালকের উপর চড়াও হয় যাত্রীরা।পরে লঞ্চটি ঘাটে পুনরায় ফেরত আসে। এ পরিস্থিতিতে লঞ্চের মাষ্টার, সুকানি ও করনিককে যাত্রীদের রোষানল থেকে উদ্ধার করে চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ।
১৯ মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৭টার সময় এ ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর লঞ্চঘাটের দায়িত্বে থাকা একাধিক লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি জানান, রাত্রিকালীন যাত্রী নেওয়ার অনুমতি রয়েছে ৩৪৫ জন। কিন্তু লঞ্চটিতে প্রায় ১৬০০ যাত্রী উঠে। লঞ্চটি ঘাট থেকে ছেড়ে কিছুদূর গেলে যাত্রীদের মধ্যে ডুবে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীদের ছুটা-ছুটিতে লঞ্চটির পেছন দিয়ে ভিতরে পানি প্রবেশ করে। তাৎক্ষণিক মাস্টার পুনরায় লঞ্চটি ঘাটে নিয়ে আসে। দুর্ঘটনা কবলিত ওই লঞ্চের যাত্রীদেরকে সিডিউলে থাকা এমভি ঈগল ও মিতালী লঞ্চে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেনন স্থানিয় লোকজন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চাঁদপুর লঞ্চঘাট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) রেজাউল করিম সুমন জানান, অতিরিক্ত যাত্রী বহন করার কারনে আমরা লঞ্চটিকে যেতে দেইনি। ওই লঞ্চের যাত্রীদের পরে লাইনের অন্য লঞ্চের সাহায্যে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০ মার্চ রোববার সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ থাকলেএ সকাল ১১টার মধ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।