বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে ২৩১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

ফরিদগঞ্জে ২৩১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও ফরিদগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার স্থাপন হয়নি। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, উপজেলার ২৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। অথচ ভাষা দিবস তথা ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে শহীদ মিনার না থাকলেও কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে দিবসটি পালন করা হয়।

জানা গেছে, উপজেলায় ২৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯০টি প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৬টি, উচ্চ মাধ্যমিক ৯টি, দাখিল মাদ্রাসা ২৪টি, আলিম ও ফাজিল মাদ্রাসা ২৬টি এবং কামিল মাদ্রাসা ১টিসহ সর্বমোট ২৯৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৮টি, কলেজ ৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০টি, মাদ্রাসা ৮টিসহ সর্বমোট ৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পেরিয়ে গেলেও অনেক সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শহীদ মিনার গড়ে উঠেনি।

ফরিদগঞ্জ এআর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল আমিন কাজল বলেন, সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে আরো আগ্রহ প্রকাশ করবে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ দিবসটি সম্পর্কে তেমন গুরুত্ব দেয় না।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম রোমান বলেন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা প্রয়োজন। কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক পর্যায় থেকে শহীদ মিনার সম্পর্কে ধারণা থাকা দরকার। এই সরকারের সময়ে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিউলি হরি বলেন, উপজেলার শিক্ষা অফিসারদের সাথে আলাপ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায় তার চেষ্টা করবো।

জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান মিঠু বলেন, জেলা পরিষদ থেকে সকল প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রায় ১৫টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শহীদ মিনার নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সে সকল প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের বাকি সময়ে মাধ্যমিক পর্যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দেয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়