শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২১, ১৯:৪৯

শয্যার চেয়ে বেশি রোগী, চিকিৎসা চলছে মেঝে ও বারান্দায়

মিজানুর রহমান
চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ

রোগীর চাপে শয্যা ও চিকিৎসক সঙ্কটে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। শয্যার চেয়ে বেশি রোগী হওয়ায় রোগীর চিকিৎসা চলছে মেঝে ও বারান্দায়। এমন দৃশ্য সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার পুরো পুরুষ ওয়ার্ডটি করোনা ওয়ার্ড করার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে খোদ এ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ হাবিব উল করিম নিজেও স্বীকার করেন এবং ভুক্তভোগী রোগীর স্বজনরাও জানিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, তৃতীয় তলায় চিকিৎসার খুবই খারাপ অবস্থা। শিশু ওয়ার্ডের জায়গায় পুরুষ ও শিশু দুটি ওয়ার্ড চালু রাখা হয়েছে। এতে রোগীর চাপ বেড়েই চলছে। রোগী বেশি হওয়ায় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। শয্যা সংকটের কারণে প্রতিদিন অর্ধ শতাধিক রোগীকে মেঝে ও বারান্দায় রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হাবিব উল করিম দাবি করেন, রোগীর কষ্ট হলেও চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির দরুণ আড়াইশ' শয্যার এ হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডটি সম্পূর্ণভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। এখানে ৬০টি বেড করোনার রোগীর জন্যে রাখা।

এদিকে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের পুরুষ, শিশু ও মহিলা ওয়ার্ডে ডাক্তার নেই। কর্মরত নার্সরাই চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করছেন। আগে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা ডাক্তার ছিলো। এখন সেটি চোখে পড়ছে না।

হাসপাতালের ভিতরের পরিবেশও নোংরা, দুর্গন্ধময়, চিকিৎসা সেবার জন্য উপযুক্ত মনে করছেন না রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ পরিবেশে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে তারা জানান। রোগীর মারাত্মক চাপে পড়েছে জেলার বড় এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী ভর্তি রয়েছে সেখানে। শয্যা না থাকায় ইউনিটের মেঝেতে শয্যা করা হচ্ছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা আরও বাড়ছে। রোগী সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নার্সদের। শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডে শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণ-তিনগুণ রোগীর চিকিৎসা চালানো হচ্ছে।

জেলা হাসপাতালের নাজুক চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রতি সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিসহ স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়