জাওয়াদ’র প্রভাবে বর্ষার রুপে চাঁদপুর, ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ

জাওয়াদ’র প্রভাবে দুইদিন ধরে চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার চাঁদপুরবাসীর ঘুম ভেঙেছে বৃষ্টির শব্দে। টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়িতে পানি ঢুকেছে, সড়কে জমেছে পানি।ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীসহ কর্মজীবী মানুষ।

গত তিনদিনেও এ জনপদে দেখা মেলেনি সূর্যের। এর ফলে বয়ে চলা হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীসহ কর্মজীবী মানুষ। স্বাভাবিক কর্মে স্থবিরতা নেমে শহর থেকে গ্রামীণ জনপদে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও পড়েছে এর প্রভাব।

নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ করেই টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কৃষিতে। অনেক কৃষকের পাকা আমন ধান ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার এবং চাষকৃত রবিশষ্য ও মৌসুমি সবজি ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, সোমবার বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রবিবার সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৬ বৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুরে। এ সময়ে ঢাকায় ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'জাওয়াদ' আর নেই। এটি অনেক আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপের পর নিম্নচাপের পরিণত হয়েছে। এখন দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নিয়েছে। এটি এখনও উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি এখনও স্থলভাগে ওঠেনি।

তিনি আরও বলেন,কাল মঙ্গলবার থেকে অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত আজকে রাতের দিকে কিংবা কালকে (মঙ্গলবার) সকালের দিকে প্রত্যাহার হতে পারে।’

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গার ন্যায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপে চাঁদপুরে রোববার হালকা গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হলেও সোমবার ভোররাত থেকে চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ জনপদজুড়ে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। দুপুরের পর বৃস্টি কিছুটা কমে আসে।তবে বাতাসের চাপ বাড়ায় মেঘনা নদী কিছুটা উত্তাল হয়ে আছে। নদীর পানি বাড়েনি।