বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮

হাজীগঞ্জের আজাদ সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক

নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মিঠু কাজী, ছিলেন দীর্ঘদিন পলাতক

চাঁদপুর কন্ঠ রিপোর্ট
হাজীগঞ্জের আজাদ সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামী আটক
ছবি :মো. মনির হোসেন মিঠু ওরফে মিঠু কাজী (৫২)

বুধবার (২ জুলাই ২০২৫) হাজীগঞ্জ থানার এসআই (নি.) মো. সাজ্জাদ হোসেন ও এএসআই (নি.) আব্দুল হান্নান সহ সঙ্গীয় ফোর্স হাজীগঞ্জ থানার মামলা নং- ০৪, তারিখ-১৪/০৮/২০২৪, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড-এর এজাহার নামীয় ১নং আসামীকে আটক করেছেন।

আটককৃত ব্যক্তির নাম মো. মনির হোসেন মিঠু ওরফে মিঠু কাজী (৫২)। তিনি মৃত মেন্দু মিয়ার পুত্র, গ্রাম-টোরাগড়, পোঃ হাজীগঞ্জ, থানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর। মিঠু কাজী হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ৮নং ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সভাপতি।

মামলায় উল্লেখিত ঘটনার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়।

উল্লেখ্য, মামলার বাদী হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের টোরাগড় এলাকার ছাত্রদলের সভাপতি। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এবং ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তার বাড়ির সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কে মিছিল পরিচালনা করছিলেন।

মিছিলে অংশ নেওয়া সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাদীর পিতা আজাদ সরকার তাদের পানির ব্যবস্থা করেন। এ সময় একটি মানবিক দৃশ্য তৈরি হয় যখন কিছু শিক্ষার্থী তার নিকট হতে পানি পান করেন।

কিন্তু এই মানবিক ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা মো. মনির হোসেন মিঠু ওরফে মিঠু কাজীর নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।

তারা ছোরা, ডেগার, কিরিচ, চাপাতি, দা, ছেনি, লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের রোল দিয়ে অতর্কিতভাবে আজাদ সরকারের ওপর আক্রমণ করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক আঘাত করে।

একপর্যায়ে মিঠু কাজী তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে আজাদ সরকারকে হত্যা করেন। ঘটনাটি তীব্র নিন্দা ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

এই বর্বরোচিত ঘটনার প্রেক্ষিতে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা নং-০৪, তারিখ-১৪/০৮/২০২৪, ধারা-১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড অনুসারে মামলা রুজু করা হয়। আসামী মিঠু কাজী মামলার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন

তবে অবশেষে পুলিশের নিরবিচার অনুসন্ধান ও প্রযুক্তিগত নজরদারিতে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়