প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫, ১৭:২২
হাজীগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার

মাহফুজ খন্দকার নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রের কাছ থেকে ৪ রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার (৫ মে ২০২৫) দুপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলার হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সুহিলপুর বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মাহফুজ ঐ ইউনিয়নের সাড়াশিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মাসুদ খন্দকারের ছেলে। ঘটনার পরপর হাজীগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আর্মি ক্যাম্প থেকে জানানো হয়েছে, পিস্তলটি ৯এমএম এবং ৪ রাউন্ড অ্যামুনশিন।
|আরো খবর
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজ (১৩)-এর সাথে প্রতিবেশী নাছিরের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মাহফুজ কোমর থেকে একটি রুমালে মোড়ানো পিস্তল সদৃশ বস্তু বের করে। এ সময় স্থানীয় যুবক ফারুক দ্রুত তা জব্দ করেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে পোঁছে যৌথবাহিনী।
খবর পেয়ে সাথে সাথে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশসহ হাজীগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিস্তলসহ গুলি জব্দ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ফারুক বলেন, আমরা চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ মারামারি শুনে শুনে এগিয়ে গিয়ে দেখি, ছেলেটির হাতে পিস্তলের মতো কিছু একটা। সঙ্গে সঙ্গে সেটি উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মাহফুজ নিজেই তার কোমর থেকে রুমালে মোড়ানো ওই পিস্তলটি বের করে। আমরা তা দেখে তাজ্জব হয়ে যাই।
এদিকে ওই শিক্ষার্থীর মা জানান, আমি অন্য পোলাপানদের কাছ থেকে শুনেছি, পোলাপাইনে এটি (গুলি ও পিস্তল) পেয়েছে। তারা কে নিবে, এটা নিয়ে মারামারি লাগে। এরপর লোকজন জড়ো হলে আর্মি-পুলিশ আসে।
এদিকে হাজীগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের সূত্রে জানা যায়, যৌথবাহিনী কর্তৃক হাজীগঞ্জ উপজেলার সাড়াশিয়া নামক স্থান থেকে একটি সক্রিয় ৯ এমএম পিস্তল এবং ০৪ রাউন্ড অ্যামুনিশন উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্যে উদ্ধারকৃত অস্ত্র এবং অ্যামুনিশন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের পর আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।