প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:৪৯
গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জে আসমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর খুনিদের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্বজনরা। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সদরে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে কয়েকশত নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
|আরো খবর
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ির হানিফ রাঢ়ির ছেলে মাসুমের সাথে চরমথুরা গ্রামের হাফেজ খানের মেয়ে আসমার ইসলামী শরিয়াহ মতে গত প্রায় ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ১৮ মাস বয়সী আয়ান নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে আসমার স্বামী মাসুুম মালেয়শিয়াতে থাকলেও তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবর সাইমুন (২২) ও শাহীন(১৭)সহ একসাথে এক ঘরেই তারা থাকে। গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে আসমা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে আসমার ভাইসহ অন্যদের জানানো হয়। আসমার মরদেহের পোস্টমর্টেমের পর দাফনপূর্ব গোসলের সময় গোপন অঙ্গসহ ক'টি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। থানা পুলিশও তাদের সুরতহাল রিপোর্টে শরীরে লালচে দাগের কথা উল্লেখ করে। আবার এই ঘটনার পর আসমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের নানামুখী আচরণ ও দুই দেবরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে আরো রহস্যময় করে তোলে। ফলে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী ও আসমার স্বজনরা। এরই জের ধরে বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও আসমার স্বজনরা আসমাকে নির্যাতন করে খুন করা হয়েছে এবং এই খুনের সাথে আসমার দুই দেবর সাইমুন ও শাহীন জড়িত দাবি করে তাদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। উপজেলা সদরে বিক্ষোভ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে। পরে মিছিল নিয়ে কয়েকশ' নারী- পুরুষ কিছু সময়ের জন্য সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের আটকের দাবিতে থানায় অবস্থান নেয়। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে থানায় অবস্থানকালীন সময়ে বক্তব্য রাখেন আসমার বড় ভাবী ফাতেমা বেগম, ভাই রুবেল খান, মিনু আক্তার, ফাবিয়া, খোকন পাাটওয়ারী, শরীফ হোসেন, শাহাদাত হোসেনসহ বিক্ষুব্ধরা। তারা বলেন, আসমার লাশের গোসল করানোর সময় তার শরীরের স্পর্শকাতর কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অথচ বলা হয়েছিল সে গলায় ফাঁস দিয়েছে। তার শরীরের আঘাতের চিহ্ন নিশ্চিত করে তাকে যৌন ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ আম গাছে ঝুলিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। আমরা অভিযুক্তদের ফাঁসি দাবি করছি।