রবিবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৮

ভয়াবহ সেই ২৫ অক্টোবর : ফরিদগঞ্জের নিহত তিন যুবদল কর্মী ও পরিবারের কথা

পর্ব-১

অনলাইন ডেস্ক
ভয়াবহ সেই ২৫ অক্টোবর : ফরিদগঞ্জের নিহত তিন যুবদল কর্মী ও পরিবারের কথা

২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর শুক্রবার ফরিদগঞ্জ উপজেলার রাজনীতির ইতিহাসের একটি কলঙ্কময় দিন। এদিন তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের আহ্বানে ডাকা মিছিল-সমাবেশকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হন ফরিদগঞ্জের তিন যুবদল কর্মী।

এরা হলেন উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব গাজীপুর তিনকড়ি বেপারী বাড়ির আঃ মতিন বেপারী ও তফুরেরনেছা দম্পতির ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারী, রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের মোঃ আব্দুল আলিম ও হাজেরা বেগমের ছেলে আরিফ হোসেন এবং একই ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের আব্দুর রহিম ও সফুরা বেগমের ছেলে বাবুল ভূঁইয়া। এই তিনজনই বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তারা যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

ঘটনার এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৪ সালে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে এই তিনটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। প্রতিবেদন দেখে ওই সময়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও বর্তমান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ, উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক শিল্পপতি এমএ হান্নান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন পাটওয়ারীসহ বিএনপির অনেকেই তাদের আর্থিক সহায়তা করেছেন। এছাড়া নিহত বাবুলের পরিবারের জন্যে পাকা ঘর করে দেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকেও অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু যত আয়োজনই হোক, স্বজন হারানোর ব্যথা কেউ ভোলাতে পারেনি নিহতদের পরিবারকে। সবচেয়ে বড়ো কথা, একযুগেও তিন তিনটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার না হওয়ায় এই ব্যথা আরো বেড়ে গেছে তাদের হৃদয়ে।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই সময়ে মামলা করা হলেও তৎকালীন পুলিশের পাল্টা মামলার কারণে তাদের মামলাগুলোর অস্তিত্ব আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর আশায় বুক বাঁধে ওই তিন যুবদলের পরিবার। সম্প্রতি সরজমিনে নিহত তিন যুবদল কর্মীর বাড়ি গিয়ে তাদের মা-বাবা ও ভাইদের সাথে কথা বলে তাদের দুঃসহ স্মৃতি হাতড়িয়ে বেড়ানো এবং তাদের প্রত্যাশার কথা জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়