রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ২১:১৯

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

মৃত্যুর সঠিক তথ্য এখনও অজানা

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর সদর হাসপাতালে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
প্রতিকী ছবি

চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আছমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গৃহবধুর বাড়ি শহরের পুরানবাজার মধ্য শ্রীরামদীতে। আছমার পরিবারের দাবি, আছমাকে স্বামীর বাড়ির লোকজন বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, আছমা ও তাজু গাজীর সংসার ২৮ বছরের। তাজু গাজী বিগত ২/৩ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করে। এ বিয়ে নিয়ে সংসারে আছমা ও তাজু গাজীর প্রায়ই কলহ লেগে থাকতো। আছমার পরিবারসূত্রে জানা যায়, বিয়ের পরপর প্রায়ই আছমাকে মারধর করতো। এরই প্রেক্ষিতে আছমা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলাও করেছিল।

এ মামলার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে তাজু গাজী ২য় স্ত্রীকে তালাক দেয়। কিছুদিন পর তাজু গাজী আবার ২য় স্ত্রীকে নিয়ে সংসার বাঁধা শুরু করে এবং সংসারে আবার অশান্তি শুরু হয়।

আছমার পরিবার জানায়, আজ সকালে আমরা খবর পাই যে আছমা অসুস্থ। আমরা গিয়ে দেখি স্থানীয় ডাক্তার আনা হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক আমাদের বোনকে প্রিমিয়ার হাসপাতালে পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই, ডাক্তার আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করে। আছমার পরিবারের দাবি, আছমার স্বামীই আছমাকে বিষ খাইয়ে মেরেছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে পুরাণবাজারের স্থানীয় প্যারামেডিকেল ডাক্তার বিপ্লবের সাথে আলাপ করলে, বিপ্লব জানায়, আমাকে আছমার বাড়িতে ডাকা হলে আমি গিয়ে দেখি, আছমা বেগম কোনো কথা বলছে না, শুধু চোখ মেলে তাকিয়ে আছে। আমি তার পেশার নরমাল পাই। আমাকে তারা বলে, গত রাতে রোগী বমি করেছিল। এখন শরীর খারাপ। আমি রোগীর অবস্থা ভালো না দেখে একটি স্যালাইন দিয়ে রোগীকে চাঁদপুর হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলি।

পরবর্তীতে রোগী আছমাকে রোগীর পরিবার চাঁদপুর প্রিমিয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে প্রিমিয়ার হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করলে প্রিমিয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে, রোগীকে তারা অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে আসে। প্রিমিয়ার হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে থাকাবস্থায়ই রোগীর অবস্থা দেখে রোগীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলি।

পরবর্তীতে আছমার পরিবার আছমাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আছমাকে মৃত ঘোষণা করে। আমরা চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকা থেকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার নূর হোসাইন বান্নার সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, রোগী এখানে আনার আগেই মারা গিয়েছিল। তারপরও মৃত্যুর নিশ্চয়তা জানার জন্য ইসিজি করি। ইসিজিতে কনফার্ম হই রোগী মৃত।

ডাক্তার বান্না আরো বলেন, রোগী আছমাকে নিয়ে হাসপাতালে অনেক লোক এসেছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে, হাসপাতালে আছমার পরিবারের লোকজন ও তার স্বামীর আত্মীয়-স্বজন এসেছে। তখন আছমার পরিবারের লোকজন চিৎকার করে দাবি করতে থাকে যে, আছমার স্বামীই আছমাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে। এ নিয়ে দু’ পক্ষের ব্যাপক বাক-বিতন্ডা হয়। এরই প্রেক্ষিতে আমি হাসপাতাল থেকে বিষ খাওয়ার কেইস হিসেবে থানায় পুলিশ কেইস হিসেবে রেফার করি। সদর থানা থেকে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়।

চাঁদপুর সদর থানার এসআই নাছির উদ্দিন লাশটি সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে আমরা চাঁদপুর সদর থানার অসি রশিদ-এর কথা বললে তিনি জানান, যেহেতু চাঁদপুর সদর হাসপাতাল থেকে বিষ খাওয়া রোগী বলে জানায়, সেহেতু আমরা আছমাকে ময়নাতদন্ত করি। এখনো ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাইনি। তবে এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মামলা করেছে আছমার ছেলে তুষার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়