প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২৪, ১৮:৩৯
দক্ষিণ বালিয়ায় এতিমখানার নামে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চাল উত্তোলন
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে এতিমখানার নামে ভূয়া কাগজপত্র
দেখিয়ে সরকারি চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে। এনিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন শোনা যায়।
জানা যায়, দক্ষিণ বালিয়া গ্রামে ফাতেমাতুজ জোহরা মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নাম দেখিয়ে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে চাল উত্তোলন করা হয়েছে। কিন্তু এ নামে কোন প্রতিষ্ঠান নেই। ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে ও ভূয়া সভাপতি বানিয়ে সরকারি চাল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ করে স্থানীয় জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারী। শুক্রবার সরজমিনে এলাকায় গেলে স্থানীয় লোকজন জানান, আমাদের এখানে কোন মহিলা মাদ্রাসা বা এতিমখানা নেই। এখানে মসজিদ আছে। এতিমখানা নেই। জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারী
এতিমখানার নামে সরকারি চাল উত্তোলন করে। আত্মসাৎ করে। সে এটা করা ঠিক হয়নি।
আমাদের মসজিদের কাজ শেষ হয়না।মসজিদের অনেক কাজ বাকি আছে। এতিমখানায় ছাত্র ছাত্রী থাকা তো দূরের কথা এতিমখানার কাজ মাএ শুরু হয়েছে। মাদ্রাসা ও ছাত্র ছাত্রী দেখিয়ে চাল উত্তোলন করে আমাদেরকে দেওয়া হয় না। সে যে চাল উত্তোলন করেছে সেই চাল আমাদের এতিমখানার নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হবে। তাঁকে খেতে দেওয়া হবে না।সে প্রতারণা করে চাল উত্তোলন করাটা ঠিক করে না।
আর যাকে সভাপতি করেছেন তিনি কোন সভাপতি না।
এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ মোতালেব শেখ বলেন, দক্ষিণ বালিয়া বাইতুল জান্নাত জামে মসজিদের জন্য ৪ শতক ও এতিমখানার জন্য ৪ শতক জায়গা দিয়েছি।মসজিদের সভাপতি আমি। আর মাদ্রাসার কমিটি গঠন হয় না। চাল উত্তোলনের বিষয়টি গত ২ দিন আগে জেনেছি। মাদ্রাসার নামে যে চাল উত্তোলন করা হয়েছে সেই চাল জাকির হোসেন,, আত্মসাৎ করতে পারবে না।
এব্যাপারে জাকির হোসেন জয়নাল পাটোয়ারীকে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
এব্যাপারে ১২ নং চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু বলেন, আমি বিভিন্ন ভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি এ নামে আমার ইউনিয়নে কোন মাদ্রাসা ও এতিমখানা নেই। সরকারি ভাবে চাল উত্তোলন করতে হলে কমিটি গঠন করে প্রতিষ্ঠানের নামে চাল উত্তোলন করতে হয়। এমনকি চাল উত্তোলনের কাগজে পৌরসভা হলে মেয়র আর ইউনিয়ন পরিষদ হলে চেয়ারম্যানের সিল স্বাক্ষর লাগে। আমি এরকম কোন প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারি বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলনের বিষয়ে কোন স্বাক্ষর করি না। প্রতারণা করে চাল উত্তোলন করা কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আর যেন কেউ এভাবে প্রতারণা করে সরকারি চাল উত্তোলন করতে না পারে। দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।