প্রকাশ : ০১ জুন ২০২৪, ১৪:৫৬
চাঁদপুর মেঘনায় আবারো বালু উত্তোলন, আটক ৮
এই অর্থ নদী প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর মেনেজ প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলে লোক মুখে এ কথাও শোনা যাচ্ছে। আবার লোক দেখানো অভিযানও করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের প্রাকৃতিক সম্পদ নদ নদীর বালু কেটে বিক্রির টাকায় কতিপয় দুর্বৃত্ত এমনিতেই বিপুল ধন সম্পদের মালিক বনে গেছে।
পর্যবেক্ষকের মতে,নদী রাষ্টের অথচ চিহ্নিত দুর্বৃত্ত ব্যক্তি লাভবানে এই বালু উত্তোলন করে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করে যাচ্ছেন।সরকার কি পাচ্ছে, সরকার হারাচ্ছে বিপুল রাজস্ব।কারণ সর্ষের ভিতর ভুত।স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি ভালোভাবে জানেন,কারা এসব করছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট অংশীজন যদি ম্যানেজই না হয়,তারা প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে নদীতে নামার সাহস পায় কোত্থেকে। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলসহ স্থানীয় সকল মহলে।
এদিকে,
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশের নিয়মিত অভিযানে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর নামক এলাকায় সাতটি বাল্কহেড থেকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আট সুকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর দুইদিন আগেও রাজরাজেশ্বর মিনি কক্সবাজার এলাকা হতে বিভিন্ন বালুর জাহাজের আরো ১২জন সুকানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। শুক্রবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তার সুকানিরা হলেন সুকানী মো. ইদ্রিস বেপারী (৪২), মো. লিটন (২০), মো. হেলাল (২০), মোঃ হাফিজুর সিকদার (৪৩), মো. বাবুল (৫৫), মো. মোক্তার (২৮), সোবাহান রশিদ (৫৮) ও জুয়েল মিয়া (৩৯)। এদের বাড়ী লক্ষ্মীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ভোর সোয়া ৬টা হতে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসাইন সঙ্গীয় ফোর্সসহ মেঘনা নদীর লালপুর নামক স্থানে সাতটি বাল্কহেডের কাগজ-পত্র যাচাই করেন। এ সময় বাল্কহেডে সার্ভে সনদ ঝুলিয়ে না রাখাসহ রেজিস্ট্রেশন নম্বর প্রকাশ্য স্থানে উৎকীরন ও সুকানি যোগ্যতা সনদ না থাকায় এবং বৈধ লাইসেন্স ছাড়া নদীপথে বেপরোয়া গতিতে ঝুকিপূর্ণভাবে বাল্কহেড চালানোর কারণে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আট জনের মধ্যে ছয় জনের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশের বিভিন্ন ধারায় মেরিন আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয় এবং জব্দ বাল্কহেড চালকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বাকি দুইজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়।
সচেতন মহল মনে করছেন, যারা চুরি চামারি বা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ায় সরকার দলের প্রভাব বিস্তারে নদীতে ড্রেজার বসাচ্ছে। অবৈধ ভাবে বালু কাটছে এবং বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ড্রেজারগুলো জব্দ সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।