প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১৮:৩১
অনাথ দাস হত্যকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সুবল আটক : আদালতে স্বীকারোক্তি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোচিত জেলে অনাথ দাস হত্যকাণ্ডের ঘটনার প্রধান আসামী সুবল দাস (৬০)কে আটক করেছে পিবিআই চাঁদপুর। তাকে ঢাকার কামরাঙ্গীচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটকের পর বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিক।
|আরো খবর
পিবিআই সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই সোমবার সকালে তিনি কড়ৈতলীর পাশ্ববর্তী শাহী বাজারে মাছ বিক্রি করতে যান। মাছ বিক্রি করে তিনিসহ লোকজন এসে কড়ৈতলী বাজারের একটি চায়ের দোকানে এসে চা খান। পরে সেখানেই তার কাছে একটি ফোন আসে। এরপর তার সঙ্গীদের কাছে তার কাজ আছে বলে চলে যান। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মিলেনি।
শেষ পর্যন্ত নিখোঁজের সাতদিন পর তার অর্ধগলিত দেহ উদ্ধার হয়। ফরিদগঞ্জ থানায় নিহতের ছেলে সুভাষ দাস মামলা দায়ের করে। একই সাথে ছায়াতদন্তে নামে পিবিআই । তারা লাশ উদ্ধারের ৫ দিনের মধ্যে রহস্যের ভেদ করতে সক্ষম হয় তারা।
পিবিআই আরো জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অর্থের বিনিময়ে তাকে হত্যা করে লাশ খালের পানিতে ফেলা দেয়া হয়। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আটক পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের সেকান্দর গাইন ওরপে শেখার ছোট ছেলে সোহাগকে পুলিশ আটকের পর সে হত্যার কথা স্বীকার করে এর্বং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। সোহাগের কাছ থেকে অনাথ দাসের মুঠো ফোনটি উদ্ধার করে। এই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের মুল হোতা সুবলদাসসহ ৪জন জড়িত বলে জানা গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক জানান, সোহাগ স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়ার পর আমরা মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুবল দাসসহ অন্যদের আটকে প্রযুক্তিসহ নানা ভাবে তৎপরতা শুরু করি। সর্বশেষ আমাদের কাছে সংবাদ আসে, সুবল দাস ঢাকার কামরাঙ্গী চর এলাকায় রয়েছে। আমরা পরবর্তীতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাকে ধরতে সমর্থ হই। পরে বুধবার (২৫ আগস্ট) চাঁদপুরে নিয়ে এসে অনাথ দাস হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করি। পরবর্তী সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়েনের খুরুমখালী গ্রামের জেলে অনাথ দাস ১৮ বছর পুর্বে নিজের চাচাতো ভাই সুবল দাসের কাছ থেকে ৩শতক জমি কিনেছেন। সেই ক্রয়কৃত জমি তিনি শেষ পর্যন্ত বুঝে পাননি। কিন্তু জমি দখল স্বত্ব বুঝে পেতে বছরের পর পর সালিশ বৈঠকসহ সকল কিছুই করেছেন। ত্রিশ হাজার টাকা জমির জন্য খরচ করেছেন লক্ষ টাকা। শিকার হয়েছের মারধরের।