শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১৭:৩১

ফরিদগঞ্জে পরকিয়া সন্দেহ ও টাকার লোভে বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা

মিজানুর রহমান
ফরিদগঞ্জে  পরকিয়া সন্দেহ ও টাকার লোভে বন্ধুকে গলাকেটে হত্যা

ফরিদগঞ্জে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ফরিদ উদ্দিন ভুঁইয়া (২৫) হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।তারা

দশ হাজার টাকার লোভে ফরিদকে

গলা কেটে হত্যা করে বলে আটক দুই আসামি পুলিশকে জানিয়েছে।

১৮ এপ্রিল সোমবার দুপুরে প্রেসব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, এএসপি সার্কেল হাজীগঞ্জ সোহেল মাহমুদ এবং ফরিদগঞ্জ থানার ওসি শহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাতে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ভুঁইয়া বাড়িতে নিজ বসত ঘর থেকে ফরিদ উদ্দিনের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

লিখিত বক্তব্যে পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন, ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া হত্যার ঘটনায় তার বোন জামাই দুলাল চৌধুরী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

আটক আসামিরা ঘটনা স্বীকার করে জানান, মৃত ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া ও আসামি সালাউদ্দিন ভূঁইয়া একই সাথে চলাফেরা করত। সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে মৃত ফরিদ উদ্দিনের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতো।

ঘটনার আগের রাতে ফরিদ উদ্দিন ও সালাউদ্দিন বাড়ির পাশের দোকানে আইপিএল খেলা দেখছিল।

এ সময় সালাউদ্দিন ফরিদ উদ্দিনের মানিব্যাগে ১ হাজার টাকার ১০টি নতুন নোট দেখতে পায়। এই নতুন টাকা এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে পার্শ্ববর্তী আব্দুর রহমানকে নিয়ে ফরিদকে হত্যার পরিকল্পনা করে সালাউদ্দিন।

ঘটনার রাতে তারা ফরিদের ঘরে ঢুকে দরজায় নক করে ধারালো দা' নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। ফরিদ উদ্দিন দরজা খুলতেই তারা ফরিদের ঘাড়ে ধারালো দা দিয়ে কোপ দেয়। ফরিদ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা মৃতদেহ গুম করার জন্য তার শয়ন কক্ষে তোষকের ভিতরে প্যাঁচিয়ে রাখে। এরপর আসামীরা ফরিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং ১০ হাজার টাকার নতুন নোট নিয়ে চলে যায়। বাইরে এসে সালাউদ্দিন তার সহযোগী আঃ রহমানকে ৫ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় চলে যেতে বলে। 

মামলা রুজু হওয়ার পর প্রথমে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আব্দুর রহমানকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং মূল আসামি সালাউদ্দিনের নাম ঠিকানা বলে দেন। তার দেয়া সাক্ষ্যে অনুযায়ী মূল আসামী মো. সালাউদ্দিনকে ফরিদগঞ্জের নিজবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়