প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২২, ১৭:৪৭
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান
লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আজ আরাফাতের ময়দান। সবার মুখেই ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়ামাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’। হে আল্লাহ! আমি হাজির, আপনার কোনও শরিক নেই, আপনার মহান দরবারে হাজির, নিশ্চয়ই সব প্রশংসা, নিয়ামত এবং সব রাজত্ব আপনারই।
|আরো খবর
শুক্রবার (৯ জিলহজ) এ তালবিয়া পাঠ করতে করতে লাখ লাখ হাজি আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হন এবং হজের দ্বিতীয় রুকন আদায় করেন। ৯ জিলহজ (সৌদি আরবের স্থানীয় সময়) আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা। করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর সীমিত থাকার পর প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সারা বিশ্বের প্রায় ১০ লাখ মানুষ এবার হজে অংশ নিয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী, জোহরের নামাজের আগে আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বরে দাঁড়িয়ে হাজিদের উদ্দেশে হজের খুতবা দেওয়া হয়। এই খুতবায় আল্লাহভীতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে কথা বলা হয়। শুক্রবার হওয়ায় জুমার নামাজের আগে দেওয়া হয় এই খুতবা। আরবিতে দেওয়া হয় এই খুতবা। তবে, এবার বাংলা ছাড়া আরও ১৩টি ভাষায় হজের খুতবা সম্প্রচার করা হয়।
জুমা ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আরাফাতের ময়দানে আদায় করেন হাজিরা। এরপর সেখানে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান অবস্থান করেন। সূর্যাস্তের পর হাজিরা আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করে যাত্রা করেন মুজদালিফার উদ্দেশে। সেখানে তারা এক আজানে আদায় করেন মাগরিব ও এশার নামাজ।
আরাফাতের ময়দানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হয়। এ ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য শায়খ ড. মুহাম্মদ আবদুল করিম আল-ঈসাকে নিযুক্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ। একই সাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজ পড়াবেন তিনি।আরাফাতের দিনের ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত এবং গুনাহ থেকে পরিত্রাণের দিন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।