প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ১৪:২৮
লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান
পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকূল বাসনা নিয়ে এবার পবিত্র হজ পালন করছেন ভাগ্যবান ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলিম
হজযাত্রীরা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পবিত্র এ স্থানে অবস্থান করবেন। কেউ পাহাড়ের কাছে, কেউবা ইবাদত করবেন সুবিধাজনক জায়গায় বসে। আরাফাতের মসজিদে নামিরাহ থেকে স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার পর হজের খুতবা দেবেন মক্কার মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বান্দার বিন আবদুল আজিজ বালিলা। এ বছর আরবির পাশাপাশি থাকছে আরও ১০ ভাষার খুতবা। এবারও দ্বিতীয়বারের মতো হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ করা হবে।
|আরো খবর
খুতবা শেষে হাজিরা জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন। সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর জিকির-আসকারে ব্যস্ত থাকবেন তারা। এর পর হাজিদের গন্তব্য মুজদালিফার দিকে। মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করে সেখানেই রাতযাপন। মুজদালিফা থেকে পাথর সংগ্রহ করে পুনরায় মিনায় ফিরবেন। ১০ জিলহজ সেখানে পৌঁছার পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
করোনার কারণে এবারও ব্যতিক্রমী সব পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাজিদের সেবা দিতে বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে ৪৫টি স্ট্রোক সেন্টার। এর মধ্যে জাবালে রহমত এলাকায় ২৩টি ও মিনা প্রান্তরে থাকবে ২২টি। এ ছাড়া ৪২টি থাকবে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র। হজের স্থানগুলোতে চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করবে ৩২টি চিকিৎসক দল ও ৩৬টি অ্যাম্বুলেন্স। পাশাপাশি মক্কার মিউনিসিপালিটি বিদ্যুৎ, সড়ক, যোগাযোগ, ট্যানেল, ব্রিজ, টয়লেট ও ড্রেনের ব্যবস্থা দেখাশোনা করছে। অগ্নিকাণ্ড ও ভারী বর্ষণে করণীয় নির্ধারণ করবে তাদের জরুরি ইউনিট।