প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:১৫
প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক চিকিৎসায় কমিউনিটি ক্লিনিক
কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর চাপ। প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আস্থাভাজন হয়ে উঠছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো । ইদানীং কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারিও হচ্ছে। গতমাসে রান্ধুনিমুড়া কমিউনিটি ক্লিনিককে ৭জন, সাদ্রা ও বাড্ডা কমিউনিটি ক্লিনিকে ২ জন করে নরমাল ডেলিভারি করা হয়। উপজেলায় মোট ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাওকোরা গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকটি ২০১০ সালে স্থাপিত হয়। সে থেকে লাওকোরা, নোয়াপাড়া টংগীরপার গ্রামের মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। হাজীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী হওয়ায় এ ক্লিনিকে কচুয়া ও শাহরাস্তির কয়েকটি গ্রামের লোকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন ভিড় করে। চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিনামূল্যে পেয়ে উপকৃত হচ্ছে এ প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ইপিআই সেবা কার্যক্রম, যক্ষ্মার পরিক্ষা, ডায়াবেটিকস পরিক্ষা ও উচ্চ রক্তচাপ পরিক্ষা করাতে পারে রোগীরা। এছাড়াও বিভিন্ন রোগের ৩০ প্রকার ঔষধ রোগীরা বিনামূল্যে পেয়ে থাকে।
|আরো খবর
সরেজমিনে লাওকোরা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, মা ও শিশু, কিশোর কিশোরীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভিড় করেছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরন করেন। তবে ক্লিনিকের ভবনটি জরাজীর্ণ। উপর থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় চুরি হয়ে গেছে পানির ট্যাংকটি। কমিউনিটি ক্লিনিকটিতে বর্তমানে পানির কোন ব্যবস্থা নেই। ক্লিনিকের ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।
লাওকোরা কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে আসা রুশিয়া বেগম বলেন, জ্বর সর্দিকাশির জন্য আমি ঔষধ নিতে এসেছি। বাড়ির কাছে হওয়ায় ঔষধের জন্য উপজেলায় যেতে হয় না। লাওকোরা কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার) কামরুজ্জামান সুমন বলেন, এ ক্লিনিকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ রোগী আসে। ভবনটি সংস্কারের প্রয়োজন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: গোলাম মাওলা জানান, দ্রুত ও বাড়ির কাছে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোতে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে কঠোর তদারকি করা হয় উপজেলা থেকে। কিছু ক্লিনিক সংস্কার করা হয়েছে। বাকিগুলোও সংস্কার করা হবে। স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ শাহেনারা আক্তার বলেন, গর্ভবতী মা,শিশু ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার দিয়ে সেবা প্রদান করা হয়। এছাড়াও সাধারণ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়। কমিউনিটির বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে ক্লিনিকগুলোতে আরো ভালো সেবা পাবে সাধারণ মানুষ।