মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জ গোল্ডেন হসপিটালের এ কি কাণ্ড ! ফেসবুকে তোলপাড়

হাজীগঞ্জ গোল্ডেন হসপিটালের এ কি কাণ্ড ! ফেসবুকে তোলপাড়
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ সড়কের হক টাওয়ারে হাজীগঞ্জ গোল্ডেন হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টার এন্ড ডিজিটাল ল্যাবের রোগী সেবা নিয়ে হতবাক রোগীর স্বজনরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় বইছে। ভুক্তভোগী রোগী তাছলিমা বেগম (৪২) একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী। তাৎক্ষণিক রোগীর স্বজনরা কুমিল্লা নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসায় এ যাত্রায় বেঁচে যায় রোগী।

রোগীর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, তাছলিমা বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ বাসায় শুয়ে থাকাবস্থায় হঠাৎ করে তার দাঁতে বসানো ক্যাপ গলায় আটকে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। তখন তাছলিমার মেয়ে ও এক স্বজন (স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী) তাকে দ্রুত গোল্ডেন হাসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে এক্স-রে করিয়ে কিছু পায়নি বলে দাবি করেন।

এদিকে তাছলিমা বেগমের দম বন্ধ হয়ে আসায় তার পরিবারের লোকজন জরুরি ভিত্তিতে তাকে কুমিল্লার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার গলা থেকে একটি ক্যাপ বের করা হয়। এর পর থেকে তাছলিমা বেগম সুস্থ রয়েছেন।

এদিকে তাছলিমা বেগমের স্বজন শাখাওয়াত হোসেন শামীম রোগীর গলায় আটকে থাকা ক্যাপটির একটি ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যে স্ট্যাটাসের নিচে ফেসবুক কমেন্টে ব্যাপক মন্তব্য দেখা গেছে।

এ বিষয়ে তাছলিমা বেগমের মেয়ে নাছরিন আক্তার রেশমা জানান, ওই দিনে বিকেলে মায়ের দম বন্ধ হয়ে আসায় আমরা মাকে গোল্ডেন হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টার এন্ড ডিজিটাল ল্যাবে নিয়ে যাই। সাথে আমার খালাতো ভাই সাংবাদিক শাখাওয়াত হোসেন শামীমও ছিলেন। এ সময় হাসপাতালে মায়ের এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে করানোর পর হাসপাতালের লোকজন আমাকে ও আমার খালাতে ভাইকে কম্পিউটারে জুম (বড়) এবং প্রিন্ট করে এক্স-রে রিপোর্ট দেখিয়ে বলেন, তার (মা) গলায় কোনো কিছু আটকানো নেই। এটা ওনার মনের সমস্যা। পরে কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে মাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাই। সেখানে মায়ের গলা থেকে দাঁতের ক্যাপ বের করা হয়।

এ বিষয়ে শাখাওয়াত হোসেন শামীম বলেন, এক্স-রে করানোর পর হাসপাতালের লোকজন এক্স-রে রিপোর্ট হাতে দিয়ে আমাদেরকে কম্পিউটার রুমে নিয়ে যায়। এরপর কম্পিউটারে এক্স-রে জুম করে দেখিয়ে বলে যে রোগীর গলায় কিছু নেই। এটি তার মনের সমস্যা। অথচ সে সময় আমার রোগীর দম বন্ধ (শ্বাসরুদ্ধ) হয়ে ছটপট করতে থাকে। তখন কোনো উপায়ন্তর না দেখে আমরা রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে কুমিল্লায় নিয়ে যাই এবং সেখানে তার গলা থেকে একটি দাঁতের ক্যাপ বের করা হয়।

এ বিষয়ে গোল্ডেন হসপিটাল এন্ড ট্রমা সেন্টার এন্ড ডিজিটাল ল্যাবের চেয়ারম্যান ডাঃ রাইসুল ইসলাম রুবেলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ওই দিন তারা (তাছলিমা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা) এক্স-রে করানোর পর রিপোর্ট না নিয়ে শুধুমাত্র এক্স-রে কপিটি নিয়ে চলে যায়। এমনকি ওই এক্স-রে কপিটি আমাকে বা হসপিটালের কোনো চিকিৎসককে দেখায়নি তারা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়