প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৬:৩৫
চাঁদপুরে করোনায় প্রতিদিন মারা যাচ্ছে : বলা যায় মৃত্যুর মিছিল
চাঁদপুরে করোনার সংক্রমণ কোনোভাবেই সামাল দেয়া যাচ্ছে না। শনাক্তের সংখ্যা যেমনি বাড়ছে, তেমনি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। এখন প্রতিদিন করোনা পজিটিভ রোগী মারা যাচ্ছে। হয় হাসপাতালে, না হয় বাড়িতে। আবার করোনা উপসর্গ নিয়েও মারা যাচ্ছে। পরে নমুনা পরীক্ষা করলে দেখা যায় রিপোর্ট পজিটিভ। তাও মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষা করা হয় হাসপাতালে যারা মারা যায় তাদের। বাড়িতে উপসর্গ নিয়ে মারা গেলে এখন আর স্যাম্পল কালেকশান করা হয় না।
|আরো খবর
গত ১২ জুলাই থেকে আজ ২৩ জুলাই দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন অফিসের হিসেব থেকে জানা গেছে, এই ১২ দিনে চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৭ জন মারা গেছেন। প্রতিদিন এক বা একের অধিক মারা যাচ্ছেন। তাও এটা হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় মৃত্যুর রেকর্ড। এছাড়া যারা বাড়িতে মারা যান অথবা চাঁদপুরের কোনো সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা রেফার করার পর পথে মারা যান বা ঢাকা মারা যান, এই মৃত্যু চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রেকর্ড হয় না। এই তথ্য চাঁদপুরের সিভিল সার্জনের। আর যদি সে সব মৃত্যু ধরা হয়, তাহলে চাঁদপুরে মৃত্যুর সংখ্যা আরো অনেক বাড়বে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে রেকর্ড থেকে জানা যায়, গত ১১ জুলাই পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৩২ জন। পরদিন ১২ জুলাই এই সংখ্যা হলো ১৩৫ জন। এদিন চাঁদপুর সদরে ১ জন, শাহরাস্তিতে ১ জন ও মতলব দক্ষিণে একজন মারা যান।
পরদিন ১৩ জুলাই কেউ মারা না গেলেও এর পরদিন ১৪ জুলাই মারা যান তিনজন। শাহরাস্তিতে ২ জন ও মতলব দক্ষিণে ১ জন। এদিন মোট মৃত্যু সংখ্যা হয় ১৩৮ জন। ১৫ জুলাই মৃত্যুর কোনো ঘটনা না থাকলেও ১৬ জুলাই মারা যান দুইজন। ফরিদগঞ্জে ১ ও শাহরাস্তিতে ১ জন। এদিন মোট সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১৪০।
পরদিন ১৭ জুলাই মারা যান ৩ জন। ফরিদগঞ্জে ১ জন ও শাহরাস্তিতে ২ জন। পরদিন ১৮ জুলাই মারা গেছে ১ জন, সেটি চাঁদপুর সদরে। ১৯ জুলাই মারা গেছে ২ জন। চাঁদপুর সদরে ১ জন ও হাজীগঞ্জে একজন। ২০ জুলাই মারা গেছে ১ জন, সেটি হাজীগঞ্জে। ২১ জুলাই ঈদের দিন মারা গেছে ১ জন, এই মৃত্যুও হাজীগঞ্জে। ঈদের পর দিন ২২ জুলাইও হাজীগঞ্জে একজন মারা গেছেন। এদিনের সংখ্যাসহ জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৪৮ জন। আর আজ দুপুরে সদর হাসপাতালে মিজান নামে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের যিনি মারা গেছেন, রাতে তার রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন কি না।
এভাবেই এখন চাঁদপুরে মৃত্যুর মিছিল চলছে। তারপরও মানুষের মাঝে কোনো বোধদয় নেই, সচেতনতা নেই।