বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর আমার অহংকার
অনলাইন ডেস্ক

আমি দেখিয়াছি পদ্মা,/আমি দেখিয়াছি যমুনা/আমি দেখিয়াছি ব্রহ্মপুত্র/আমি দেখিয়াছি ডাকাতিয়া।/আমি দেখিয়াছি তিস্তা/আমি দেখিয়াছি বুড়িগঙ্গা/আমি দেখিয়াছি কর্ণফুলী/আমি দেখিয়াছি মেঘনার ঢেউ। আমি হলফ করে বলতে বাংলাদেশের কোথাও নেই ত্রিনদীর মোহনা, যা আছে ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর নামে খ্যাত, সেই তিন নদীর মোহনার ঢেউ।

চাঁদপুরকে দেখছি সেই ১৯৮০ সালের পর থেকেই। সেই সময়ের চিত্র, মাঝখানের চিত্র আর বর্তমানের চাঁদপুর এর মাঝে আকাশ-জমিন তফাত পরিলক্ষিত। সেদিন চাঁদপুরে ছিলো না তেমন গাড়ি-ঘোড়া। কালের বিবর্তনে চাঁদপুর জেলায় বেড়েছে জনসংখ্যা, বেড়েছে কর্মসংস্থান, বেড়েছে দালানকোঠা, বেড়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বেড়েছে সাংস্কৃতিক সংগঠন, বেড়েছে পত্রিকার সংখ্যা, বেড়েছে প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা পরিবারের সংখ্যা, বেড়েছে সংবাদপত্র, বেড়েছে সংবাদকর্মীর সংখ্যা, বেড়েছে মসজিদ, স্কুল, কলেজ ইত্যাদি। বেড়েছে অন্য জেলা থেকে চাঁদপুর জেলায় এসে ঘর করে থাকা মানুষের সংখ্যা, বেড়েছে মাথাপিছু মানুষের আয়। বদলে গেছে জীবন মান।

চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হলো : চাঁদপুর সদর, হাইমচর, ফরিদগঞ্জ, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া। প্রতিটি উপজেলায় মডেল থানা, মডেল বাজার, রয়েছে ৮টি উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভা। চাঁদপুর একটি ছোট জেলা হলেও পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে অন্যান্য জেলার তুলনায় অনেক সুন্দর। রয়েছে নদীপথ, রেলপথ, সড়কপথ। তবে নেই আকাশপথ, নামিদামি কোন খেলার মাঠ না থাকলেও, রয়েছে একটি স্টেডিয়াম। রয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র। রয়েছে শিল্পকলা একাডেমি, সাহিত্য একাডেমি। যেসব সাহিত্য চর্চা কেন্দ্র থেকে অনেক কবি, লেখক, প্রাবন্ধিক বেরিয়ে এসেছে। রয়েছে চাঁদপুর প্রেসক্লাব। জেলাসহ উপজেলায় রয়েছে নাট্যথিয়েটার বা সংগঠন। ইতিমধ্যে চাঁদপুর জেলার অনেক লেখক বাংলাদেশের নামি-দামি প্রকাশনা থেকে তাদের লেখা বই প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন নানা পুরস্কার। চাঁদপুর জেলায় জন্ম হয়েছে অনেক গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও নৃত্যশিল্পীর।

চাঁদপুর জেলায় অনেক রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়েছে। যাঁরা নিজস্ব যোগ্যতায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যেমন ফরিদগঞ্জ উপজেলার মিজানুর রহমান চৌধুরী। আবার কেউ-বা হয়েছেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শাহরাস্তি উপজেলার কৃতী সন্তান মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। আবার কেউ-বা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে নিজস্ব উদ্যোগে চালু করেছিলেন শিক্ষাবৃত্তি, যাকে বলা হতো স্টাফিন। তার রূপকার ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা নাওড়া পাটোয়ারী বাড়ির কৃতি মরহুম ড. এমএ সাত্তার। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসক হিসেবে দিয়েছেন সেবা, নিজেও করেছেন যুদ্ধ, সম্মাননা হিসেবে পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক তাঁর নাম ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী।

বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন চাঁদপুর জেলার আরেক কৃতী সন্তান বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। আমার দেখা চাঁদপুরের অনেক আলোকিত মানুষের জন্ম হয়েছে, যাঁদের কথা লিখে শেষ করা যাবে না। যাঁদের আন্তরিক সহযোগিতায় আলোকিত হচ্ছে চাঁদপুর। রূপালি ইলিশের জেলা চাঁদপুর। জয় হোক চাঁদপুরবাসীর। সকলের জন্য শুভকামনা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়