বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

যাঁর হাতে ছিল সোনার কলম
ড. সরকার আবদুল মান্নান

একজন লেখক গড়পড়তা সাধারণ মানুষ নন। তার মনের গড়ন, ভাষাবোধ, জীবনবোধ ও জীবনাচরণ আর দশজন মানুষের মতো নয়। তিনি অধ্যবসায়ী, ভাবুক, কল্পনাপ্রবণ, নিঃসঙ্গ, অন্তর্মুখ। কল্পনাপ্রতিভার সঙ্গে তার দরকার হয় অখণ্ড অবসর। লিখে যারা খ্যাতিমান হয়ে আছেন, তাদের জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেখালেখি ছাড়া আর কোথাও তারা তেমন সাফল্য অর্জন করতে পারেননি। সাধারণত এরা অধিকাংশই কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, গবেষক ইত্যাদি। এই যে লেখক ও লেখকজীবন, তার সঙ্গে শেখ মুজিবুর রহমানের কতটা সম্পর্ক আছে? আমার মনে হয়, তাঁর নিরন্তর গণসম্পৃক্ততার মধ্যেও, আপাদমস্তক রাজনৈতিকতার মধ্যেও তিনি লেখকজীবনই যাপন করেছেন। আর ওই জীবনের পুরো আস্বাদ তিনি লাভ করেছেন জেলজীবনে।

বঙ্গবন্ধুকে আমরা লেখক হিসেবে জানতাম না। এক দশক আগেও তাঁর লেখকসত্তা আমাদের কাছে অপরিচিতই ছিল। এ দেশের মানুষের কাছে তো বটেই, সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে তিনি কিংবদন্তির রাজনীতিক। শুধু তা-ই নয়, গোটা পৃথিবীর ইতিহাসে এমন রাজনীতিকের সংখ্যা বিরল, যিনি অতি শৈশব থেকে, বলা যায় পড়াশোনা শুরুর পর থেকে ক্রমে রাজনীতির দিকেই এগিয়েছেন-অন্য কোনো প্রতিষ্ঠার দিকে যাওয়ার কথা কখনোই ভাবেননি। পঞ্চান্ন বছরের ছোট একটা জীবনকে তিনি হাজার বছরের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞে এমনভাবে ভরিয়ে তুলেছিলেন যে, সেখানে অন্য কিছু করার সামান্যতম ফুরসতও তাঁর ছিল না। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন এবং এই পরিচয়েই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুতরাং কিছুতেই আমরা তাঁকে লেখক হিসেবে ভাবার সুযোগ পাইনি।

২০১২ সালে দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে তাঁর লেখা বই প্রথম প্রকাশ হয়-শিরোনাম ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’।

এই তাঁর লেখকসত্তার প্রথম উন্মোচন। তারপর বাংলা একাডেমি থেকে ২০১৭ সালে প্রকাশ হয় ‘কারাগারের রোজনামচা’ এবং ২০২০ সালে ‘আমার দেখা নয়াচীন’। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করে রসজ্ঞ পাঠক বিস্মিত হয়ে যান। পাঠকরা ভাবতেও পারেননি এমন একটি শক্তিমান লেখার অভিজ্ঞতা তারা লাভ করতে পারবেন। সুতরাং তারা নড়েচড়ে বসেন এবং এই লেখকের যে আরও লেখা থাকা স্বাভাবিক, এ ব্যাপারে পাঠকরা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যান। কারণ কোনো লেখকই লেখা শুরু করে এতটা শক্তির পরিচয় দিতে পারেন না। এখন শেখ মুজিবুর রহমান শক্তিমান লেখক হিসেবে বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত। শুধু সাহিত্য হিসেবে নয়-তাঁর লেখার মধ্যে রাজনীতি, ইতিহাস, মানবতাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতাবাদ, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদসহ ব্যক্তিত্বের মহিমা এমনভাবে গ্রন্থিত হয়ে আছে, যার সঙ্গে প্রথাগত সাহিত্যের কোনো তুলনা চলে না। সুতরাং অনিবার্যভাবেই কৌতূহল জাগে, জীবনযাপনের কোন পটভূমি থেকে তাঁর মধ্যে এই লেখকসত্তার বিকাশ সম্ভব হয়েছে।

বই পড়ার নেশা যাদের মধ্যে তৈরি হয় তাদেরই কেউ কেউ লেখক হন। পঠন-অভ্যাস ছাড়া লেখক হওয়ার ঘটনা বিরল। খুব শৈশব থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে পত্রপত্রিকা ও বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হয়েছিল। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে তিনি লিখেছেন, ‘আমার আব্বা খবরের কাগজ রাখতেন। আনন্দবাজার, বসুমতী, আজাদ, মাসিক মোহাম্মদী ও সওগাত। ছোটকাল থেকে আমি সকল কাগজই পড়তাম।’ ২০১২ সালে ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ শীর্ষক একটি গ্রন্থে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার বই পড়ার অভ্যাস সম্পর্কে লিখেছেন : ‘১৯৪৯ থেকে আব্বা যতবার জেলে গেছেন কয়েকখানা নির্দিষ্ট বই ছিল, যা সব সময় আব্বার সঙ্গে থাকত। জেলখানার বই বেশিরভাগই জেল লাইব্রেরিতে দান করে দিতেন কিন্তু আমার মায়ের অনুরোধে এই বই কয়টা আব্বা কখনো দিতেন না, সঙ্গে নিয়ে আসতেন। তার মধ্যে রবীন্দ্র-রচনাবলী, শরৎচন্দ্র, নজরুলের রচনা, বার্নার্ড শ’র কয়েকটা বইতে সেন্সর করার সিল দেওয়া ছিল। জেলে কিছু পাঠালে সেন্সর করা হয়, অনুসন্ধান করা হয়, তারপর পাস হয়ে গেলে সিল মারা হয়। আব্বা পরপর কতবার জেলে গেলেন তার সিল এই বইগুলোতে ছিল। মা এই কয়টা বই খুব যত্ন করে রাখতেন। আব্বা জেল থেকে ছাড়া পেলেই খোঁজ নিতেন বইগুলো এনেছেন কি না। যদিও অনেক বই জেলে পাঠানো হতো। মা প্রচুর বই কিনতেন আর জেলে পাঠাতেন।’

১৯৫০ সালের ২১ ডিসেম্বর ফরিদপুর ডিস্ট্রিক্ট জেল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান চিঠি লিখেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে। চিঠিতে লিখেছেন, ‘গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় জেলখানার গেটে যখন আমাদের দেখা হয়েছিল, আপনি কথা দিয়েছিলেন, আমাকে কিছু বই পাঠিয়ে দেবেন। তবে এখনও কোনো বই পাইনি। ভুলে যাবেন না এখানে আমি একা আর বই-ই আমার একমাত্র সঙ্গী।’ ঢাকা কেন্দ্রীয় জেলখানা থেকে ১৯৫১ সালের ৯ ডিসেম্বর অন্য এক চিঠিতে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে তিনি লিখেছেন, ‘নূতন চীনের কিছু বই যদি পাওয়া যায় তবে আমাকে পাঠাবেন। এ ছাড়া অসংখ্য চিত্রশিল্পী, সংগীতশিল্পী, কবি, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকের সঙ্গে তাঁর ছিল মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক তাঁকে জীবন সম্পর্কে উদার-উন্মুক্তভাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছে।’

স্বাধীনতা-পূর্বকালে জেলের বাইরে থেকে শেখ মুজিবুর রহমান কখনো লিখতে পেরেছেন, তাঁর লেখালেখির মধ্যে এমন কোনো নিদর্শন পাওয়া যায় না। তবে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘দৈনিক আজাদ তখন মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল নাজিমউদ্দীন গ্রুপের সমর্থক। আবুল হাশেম ও শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিরুদ্ধে আজাদ কৌশলে প্রচার চালাত। বঙ্গবন্ধু ছদ্মনামে এই প্রচারণার কোনো কোনোটির জবাব লিখতেন ছোট ছোট প্রবন্ধের মাধ্যমে। তার এই সাংবাদিকতার কথা আমি বহু পরে জানতে পারি কাজী মোহাম্মদ ইদরিসের মুখে, যখন তিনি ঢাকায় অবজারভার গ্রুপের বাংলা সাপ্তাহিক পল্লীবার্তার সম্পাদক-সময়টা ১৯৬৬ কি ১৯৬৭ সাল।

দেশ ভাগের পর জেলের বাইরে তিনি সম্পূর্ণ নিমগ্ন ও নিয়োজিত থাকতেন তাঁর বিপুল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। তাঁর একমাত্র অবসর ছিল জেলজীবনে এবং ওই সময়টিকে তিনি সর্বোত্তম কাজে ব্যবহার করেছেন। আর ওই কাজটি হলো পড়া এবং লেখালেখি। পড়া ও লেখার ফাঁকে ফাঁকে তিনি বাগান করতেন, পশু-পাখির যত্ন নিতেন।

বঙ্গবন্ধু তিনটি বই তিন রকম। একটি আত্মজীবনী, বলা যায় তার সঙ্গে নানা অনুষঙ্গে যুক্ত হয়েছে জীবনের বিপুল মহাকাব্য। ‘কারাগারের রোজনামচা’ তারিখ দিয়ে দিয়ে বন্দিজীবন এবং ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সেই জীবনের অনেকান্ত কলেবর রচিত হয়েছে। আর আমার দেখা নয়াচীন নিখাদ ভ্রমণসাহিত্য। এগুলো নতুন ধারার কোনো সাহিত্য নয়। বহুকাল থেকে সাহিত্যের এই তিনটি ধারা প্রবাহিত হয়ে আসছে। এই তিনটি মাত্র গ্রন্থের মাধ্যমে কোন শক্তিতে বঙ্গবন্ধু বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেন, তার ন্যায়সূত্র বোঝা দরকার।

‘আত্মজীবনী’, ‘রোজনামচা’ এবং ভ্রমণকাহিনিতে প্রকটভাবে ‘আমিত্বে’র বিকাশ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অধিকাংশ লেখক সম্পূর্ণ আলোটুকু নিজের দিকে ফেলতে চেষ্টা করেন এবং নিজের ভালোত্বের বিবরণ দিয়ে খুশি হন আর খুঁটিনাটি বিবরণের ভেতর দিয়ে বারবার নিজের কাছেই ফিরে আসার তাড়া বোধ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই তিনটি রচনার মধ্যে কোথাও নিজের ওপর আলো ধরে রাখেননি। অধিকন্তু একটি অসম্ভব সহজাত দৃষ্টিভঙ্গি ও জীবনবোধের পটভূমিতে তিনি তাঁর দৃষ্টিকে প্রসারিত করছেন জীবনের সর্বাবয়বে। ফলে তিনটি গ্রন্থের মধ্যেই আমরা লক্ষ করব অসংখ্য মানুষের কণ্ঠস্বর এবং সেই সব মানুষ প্রত্যেকেই আপন আপন মহিমায় উজ্জ্বল। লেখক শেখ মুজিবুর রহমানের মধ্যে অসাধারণ এই সাহিত্যরুচি তৈরি হয়েছিল তাঁর কলকাতার বিপুল শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিবেষ্টিত জীবনেই।

এই তিনটি গ্রন্থের মধ্যে একটি সাধারণ প্রবণতা হলো, তাঁর রাজনৈতিক জীবনাদর্শকে বিচিত্র ঘটনা, পরিপ্রেক্ষিত ও সঙ্গে-অনুষঙ্গে তুলে ধরা। কিন্তু কিছুতেই তাতে তাত্ত্বিকতার চিহ্নমাত্রও নেই। কখনো নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলার ভঙ্গিতে, কখনো ঘটনার বিবরণের মধ্যে এবং কখনো বা বৈঠকি ভঙ্গিতে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর আকাঙ্ক্ষার জগৎকে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, তিনটি গ্রন্থের গড়নগত স্বাতন্ত্র্যে।

আত্মজীবনীর ভাষা ও ঘটনার বিস্তার এবং ভাবনার সংগঠন নিশ্চয়ই রোজনামচা ও ভ্রমণকাহিনির মতো নয় নয়। আত্মজীবনীর আখ্যানের মধ্যে এক ধরনের ত্রিকালদর্শী পরিবেশ বিরাজমান থাকে। কিন্তু কারাগারের রোজনামচার সংগঠন সম্পূর্ণই আলাদা। প্রতিদিনের ঘটনার বিবরণের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান আটপৌরে যে ভাষার আশ্রয় নিয়েছেন, সেই ভাষা কিছুমাত্র আত্মজীবনীতে লক্ষ করা যায় না। এখানে বর্তমানই মুখ্য এবং ভাষার মধ্যেও আছে বই হিসেবে প্রকাশ করা হবে, এমন একটি প্রবণতার ইঙ্গিত। কিন্তু দ্বন্দ্ব লাগে যখন গ্রন্থের প্রথমেই জেলখানার বিচিত্র ভাষা, ঘটনা ও রেওয়াজের সঙ্গে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা লক্ষ করি। তার মানে, খুব সচেতনভাবেই তিনি রোজনামচা লিখেছিলেন। কিন্তু তবুও সহজাত সাহিত্যপ্রতিভার প্রেরণায়ই আলাদা হয়ে গেছে সবকিছু।

ভ্রমণকাহিনির মধ্যে এক ধরনের গতি থাকে। সেই গতি ঘটনার, আখ্যানের ও ভাষার। আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থে ওই গতির স্পর্শ পাওয়া যায় সর্বত্র। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও আমার দেখা নয়াচীন গ্রন্থ তিনটির অভিন্ন একটি মূল সুর আছে, আর তা হলো অন্তরঙ্গতা। কথা বলার ভঙ্গিটাই এমন যে, তিনি যেন বৈঠকখানায় বসে সমবেত লোকজনের সামনে কথা বলছেন। সেই শ্রোতা প্রথমত তিনি নিজে। লেখাগুলো উপন্যাস নয়, গল্প নয়, কবিতাও নয়-একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের আলোকে ইতিহাস, তাঁর সময়ের রাজনীতি, রাজনৈতিক সহকর্মী, সমাজ, সংস্কৃতি, পরিবার-পরিজন। এমন লেখায় পদে পদে আততায়ীর মতো ওত পেতে থাকে সততার প্রশ্ন, সঠিকতার প্রশ্ন, ন্যায় ও ন্যায্যতার প্রশ্ন।

গল্প-উপন্যাস-নাটক-কবিতা এসবের ধার ধারে না। ফলে তিনি একজন সৃষ্টিশীল লেখকের স্বাধীনতা ভোগ করেননি। কিন্তু গ্রন্থ তিনটি পড়লে ওই পরাধীনতার কোনো চিহ্ন আবিষ্কার করা যায় না। মনে হয় তিনি বলতে শুরু করেছেন এবং আর কোথাও না থেমে তিনি গন্তব্যে উপনীত হয়েছেন। লেখার এই সচ্ছলতা গ্রন্থ তিনটিকে বিপুল জনপ্রিয়তা দান করেছে। সৃজনশীল মহৎ গ্রন্থের যা কিছু মাহাত্ম্য তার সব রূপ-রস-গন্ধ এবং আলো-ছায়ার খেলা খুব ভালোভাবেই গ্রন্থ তিনটিতে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়