বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

‘শেখানো’ নাকি ‘শিখতে শেখানো’
অনলাইন ডেস্ক

আমাদের দেশে শুধু নয়, সারা বিশ্বে শিখন-শেখানো কার্যক্রমের একটি মুখ্য বিষয় হলো শিক্ষার্থীদের শেখানো। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে কিংবা শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীদের নানা বিষয় শেখাতে চান। অর্থাৎ শিক্ষকের দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেয়া। একটা সময় ছিল শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য শিক্ষকরা নানা রকম কৌশলের আশ্রয় নিতেন এবং সেই কৌশলের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি প্রদানের দীর্ঘ ঐতিহ্য ছিল। কত রকম শাস্তি যে শিক্ষার্থীদের দেয়া হতো, তার বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে শিবনাথ শাস্ত্রীর লেখা ‘রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ’ নামক গ্রন্থে।

আজকের দিনে আইন করে শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়া বন্ধ করা হয়েছে। তাতে অনেক শিক্ষক এবং অভিভাবক খুশি নন। তারা মনে করেন, শেখানোর জন্য শিক্ষার্থীদের শাস্তি দেয়া উচিত। শুধু শেখানোর জন্যই নয়, শৈশব ও কৈশোরের সহজাত চঞ্চলতা ও দুষ্টুমির জন্যও এই শাস্তি অপরিহার্য বলে মনে করেন তারা। এই শাস্তি না দেয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা ভালো করে শিখছে না এবং ভালো মানুষ হচ্ছে না, মাঝেমধ্যেই এমন অভিযোগ উত্থাপিত হয় শিক্ষক ও অভিভাবকদের কাছ থেকে।

কিন্তু শিক্ষকদের দায়িত্ব যে শেখানো নয় এবং শিক্ষকরা যে সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের শেখাতে পারেন না, শিক্ষাবিজ্ঞানের এই ধারণার সঙ্গে আমাদের অভিভাবকরা তো নয়ই, এমনকি অধিকাংশ শিক্ষকও পরিচিত নন। ‘শেখানো’ এবং ‘শিখতে শেখানো’- এই দুটি প্রপঞ্চের পার্থক্য স্পষ্ট করার জন্য দুটি উদাহরণ দিই। শিশুদের আমরা সাইকেল চালানোর কৌশল শেখাই। তাকে সাইকেলে উঠিয়ে দিয়ে অভিভাবকরা ব্যালেন্স ধরিয়ে দেয়ার জন্য সাইকেল ধরে হাঁটেন। দু-এক দিন এভাবে ধরে ধরে প্রশিক্ষণ দেয়ার পর মাঝেমধ্যে তাকে একা ছেড়ে দেয়া হয়। সে পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে, নানা রকম ঘটনা ও দুর্ঘটনা ঘটিয়ে আস্তে আস্তে সাইকেল চালানো শিখে যায়। এরপর জীবনভর সাইকেল চালাতে পারে। এটি হচ্ছে ‘শিখতে শেখানো’-এর প্রক্রিয়া। কিন্তু ‘পারবে না’, ‘পড়ে যাবে’, ব্যথা পাবে ইত্যাদি চিন্তা করে তাকে যদি সব সময়ই সাইকেলে উঠিয়ে ধরে ধরে নির্দিষ্ট লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হতো, তাহলে সে কখনোই সাইকেল চালানো শিখতে পারত না।

আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সাইকেলটা সব সময় শিক্ষক ও অভিভাবকদের হাতে থাকে। কারণ, তারা মনে করেন, পড়ার সাইকেলটা যদি সম্পূর্ণরূপে শিক্ষার্থীদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে তারা দুর্ঘটনা ঘটাবে, মানে পরীক্ষায় ফেল করবে। সুতরাং পরীক্ষায় একটি ভালো রেজাল্ট না করা পর্যন্ত তাদের শেখানোর মধ্যে রাখেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এই শেখানোটা কি যে অত্যাচারের, কি যে জোর-জবরদস্তির, তার খোঁজ কেউ রাখেন না। যখন পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষার্থীরা তথাকথিত গোল্ডেন এ-প্লাস পেয়ে যায়, তখন শিক্ষক ও অভিভাবকরা ভাবেন, তাদের যথেষ্ট শেখানো গেছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। আর কেউ যদি এত শেখানোর পরও গোল্ডেন এ-প্লাস না পায়, তাহলে ভাবা হয়, এর জীবন অন্ধকার, এর দ্বারা আর কিছু হবে না। এবং অভিভাবকরা এতটাই হতাশ ও মনঃকষ্টে নিপতিত হন যে, তাদের জীবনও বুঝি একই সঙ্গে শেষ হয়ে গেল। বিশেষ করে, যখন সর্বত্র গোল্ডেন এ-প্লাসের ছড়াছড়ি, সেখানে তাদের সন্তানদের রেজাল্ট বলবেন কী করে। লজ্জা, লজ্জা! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, বিশেষ করে ফেসবুকে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

কিন্তু অভিভাবক বা শিক্ষকরা কেউই ভাবেন না যে, নিরন্ত পরীক্ষা নিয়ে নিয়ে, কোচিং সেন্টারে সেন্টারে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে যে শিক্ষা তাকে দেয়া হয়, তা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় ভালো রেজাল্টের নিশ্চয়তা দিলেও জীবনভর শিক্ষার পথ চিরতরে রুদ্ধ করে দেয়। কারণ, শিক্ষার্থীরা শেখার কৌশলের সঙ্গে পরিচিত হয়নি, তার সৃষ্টিশীল ভাবনা বিকাশের পথ পায়নি, একটিমাত্র অধ্যায় শেখার ভেতর দিয়ে অসংখ্য অধ্যায় বুঝে নেয়ার দ্বার তার সম্মুখে খুলে যায়নি। পরীক্ষা-পাসের জন্য যেটুকু দরকার কেবল সেটুকুর মধ্যেই তাকে ধরে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে যে শিখন-শেখানো পদ্ধতি বিরাজমান, তাকেই বলে ‘শেখানো’ এবং এই পদ্ধতিতে যে মূল্যায়ন করা হয় ইংরেজিতে তাকে অ্যাসেসমেন্ট অব লার্নিং। মানে পরীক্ষা পরীক্ষা পরীক্ষা, রেজাল্ট রেজাল্ট রেজাল্ট।

এই পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের অন্তরায়। শিক্ষাক্রম উন্নয়নের পটভূমিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য জীবনকে নান্দনিক, আনন্দময় ও অর্থবহ করে তোলা এবং সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীকে জীবিকা অর্জনের উপযোগী যোগ্য, সৃষ্টিশীল ও মানবিক মানুষে পরিণত করা। একই সঙ্গে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে শিক্ষার্থীকে একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।’ পরীক্ষানির্ভর ও একমাত্র ভালো ফলাফলনির্ভর বর্তমান শিখন-শেখানো পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার এই উদ্দেশ্যে পৌঁছে দেয়া কিছুতেই সম্ভব নয়। সুতরাং আমাদের অবশ্যই যেতে হবে ‘শিখতে শেখানো’-এর পদ্ধতিতে, যার উদ্দেশ্য শুধু পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট নয় বরং জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ তৈরি করা।

এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সরকার ইতিমধ্যে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করেছে এবং ২০২৩ সাল থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা শুরু হয়েছে। যারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন তারা জানেন যে, শিক্ষাক্রমের যেকোনো পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো সমস্যা নয়। সমস্যা হলো যারা ওই শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করবেন, সেই শিক্ষকদের এবং পরোক্ষভাবে অভিভাবকও অন্যান্য অংশীজনদের। কারণ এরা হলেন শিক্ষার মুখ্য চরিত্র বা নায়ক-নায়িকা।

শিক্ষক কি সত্যি আলাদা কেউ? কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যখন কোনো ব্যক্তি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন তখন তার কি এমন কোনো যোগ্যতা থাকে যা তাকে শিক্ষক হিসেবে আলাদা করেছে? না, আমাদের দেশে তেমন কোনো ডিপ্লোমা, ডিগ্রি বা লাইসেন্স তার দরকার হয় না। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই শিক্ষকতার পেশা এমন নয়। অনেক উন্নত দেশে শিক্ষক হওয়ার জন্য নিজস্ব ডিগ্রির পাশাপাশি শিক্ষকতাণ্ডসংক্রান্ত কোনো ডিপ্লোমা, ডিগ্রি বা লাইসেন্স দরকার হয়। এগুলো হলো শিক্ষকতা পেশার পূর্বশর্ত। এভাবে শিক্ষকতা শুরু করার আগেই একটি শ্রেণির আবির্ভাব ঘটে, যারা মনে-মননে-বিশ্বাসে ও জীবনাচরণে নিজেকে শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। ওই দেশের শিক্ষাক্রম, শিখন-শেখানো কৌশল, শিক্ষার্থী মূল্যায়নপদ্ধতি এবং সর্বোপরি শিক্ষা বিজ্ঞানের সঙ্গে নিবিড় পরিচয় ছাড়া কেউ শিক্ষক হতে পারেন না।

কিন্তু আমাদের দেশে যে কেউ যেকোনো সময় শিক্ষক হতে পারেন। তাকে শুধু সাধারণ পরীক্ষার মুখোমুখী হতে হয়। যেমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষকতা করার জন্য তাকে যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়, তার সঙ্গে শিক্ষকতার কোনো সম্পর্ক নেই। সুতরাং যখনই সরকার কোনো নতুন শিক্ষাক্রম, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম, শিখন-শেখানো পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য স্থির করে তখনই একটি বড় চ্যালেঞ্জ উপস্থিত হয়, আর তা হলো শিক্ষক-প্রশিক্ষণ। এই চ্যালেঞ্জেরও তিনটি দিক আছে: প্রথমত, প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন, প্রশিক্ষক লোকবল, প্রশিক্ষণের পরিধি ও সময়গত ব্যাপ্তি ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি হলো একাডেমিক এবং তৃতীয়টি হলো মানসিক।

অনেক সময় দেখা যায়, বিপুল জনসংখ্যার শিক্ষকশ্রেণিকে প্রশিক্ষণের জন্য যে পরিমাণ প্রশিক্ষণ সামগ্রী, লোকবল ও সময় থাকা দরকার তা থাকে না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একাডেমিক প্রশিক্ষণটি দেয়া সম্ভব হলেও ওই নতুন ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষকের মানসিক ঐক্য বিধান করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। কেননা, অধিকাংশ শিক্ষক নতুন ব্যবস্থা পছন্দ করতে চান না কিংবা ওই ব্যবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে উঠতে পারেন না। এর কারণ হলো, যারা শেষ পর্যন্ত এই পেশায় থেকে যান, তাদের অধিকাংশই পেশানির্ভর সন্তুষ্টি নিয়ে জীবনযাপন করেন না এবং শিক্ষা, শিক্ষক ও শিক্ষকতার ক্রমিক উন্নয়কল্পে আন্তরিকতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন না। এবং নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাদের অধিকাংশই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন না। আবার এদের জবাবদিহির মধ্যে আনাও সম্ভব হয় না। টাকা থাকলে শিক্ষপ্রিতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত সাধন করা যায়, শিখন-শেখানো উপকরণ সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু টাকা ব্যয় করলেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলা যায় না। এর জন্য দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়।

‘শিখতে শেখানো’-এর উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চলছে, তাতে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। সরকার যে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছে, তার লক্ষ্য হলো গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা। আর এই যাত্রাপথে সবচেয়ে বড় অন্তরায় গুণগত শিক্ষক। আধুনিক শিক্ষার প্রচুর উপকরণ, উন্নত সুযোগ-সুবিধাসংবলিত বহুতল ভবন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাহ্যিক চাকচিক্য তেমন কোনো কাজে আসবে না যদি শিক্ষকের মান বৃদ্ধি করা সম্ভব না হয়। শিক্ষকের মান বৃদ্ধি করা খুবই কঠিন কাজ। কারণ এ দেশে সর্বোচ্চ মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসেন না।

এ বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে, তার মূল উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষার্থীদের শিখতে শেখানো। আগেই বলেছি, ‘শেখানো’ আর ‘শিখতে শেখানো’ এ দুটি বিষয় এক নয়, সম্পূর্ণ আলাদা। শেখানোর বিষয়টিকে খুব ক্ষুদ্র পরিসর থেকে বিবেচনা করা হয়। কারণ, এর লক্ষ্য হলো পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে গণিতের কোনো একটি সূত্র এবং ওই সূত্রের আলোকে কয়েকটি অংক শেখানো কিংবা শিক্ষার্থীকে ধরে ধরে নত্ববিধান শেখানো। এভাবে পরীক্ষায় ভালো করার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন বিষয় শেখানো, মুখস্থ করানো, চর্চা করানো এখনকার শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য নয়। এর উদ্দেশ্য হলো, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের চিন্তা করার, ভাববার, চেষ্টা করার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলায় মনোনিবেশ করবেন। বিষয়টা এমন যে, এক-দুটি কবিতা কী করে পাঠ করতে হবে এবং ওই একটি বা দুটি মাত্র কবিতা পাঠের ভেতর দিয়ে একজন শিক্ষার্থী কী করে যেকোনো ধরনের কবিতা পাঠ করার যোগ্যতা অর্জন করবে, সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করাই হলো ‘শিখতে শেখানো’।

পাঠ্যপুস্তকভুক্ত কিছু ‘পাঠে’র ভেতর দিয়ে শিক্ষার্থীকে বিপুল জ্ঞানভাণ্ডারের প্রতি এবং জীবন ও জগতের প্রতি আগ্রহী করে তোলা শিক্ষকের দায়িত্ব। সুতরাং মেরেকেটে আর শেখানো নয়, শিক্ষার্থীদের ‘শিখতে শেখানো’-এর ভেতর দিয়ে তার সৃষ্টিশীল মেধার উন্মেষ সাধন, তার মধ্যে মানবিকতাবোধ জাগ্রত করা, তাকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা এবং তাকে যোগ্য মানুষ করে তোলাই হোক এই পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়