প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
প্রাণের সমাজকর্ম বিভাগ
আমার জীবন বিনির্মাণে যে বিদ্যাপীঠের ভূমিকা মাতৃতুল্য তার নাম চাঁদপুর সরকারি কলেজ। জীবনের সোনালি সময় কেটেছে প্রিয় এ বিদ্যাপীঠে। এর সাথে জড়িয়ে আছে হাজারো স্মৃতি। সমাজকর্ম ডিপার্টমেন্টে পড়ে স্যারদের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠা, কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের স্যারদের সাথে পরিচয়, ছাত্র-ছাত্রী আমার বন্ধুরা যাদের কথা কখনো ভোলার মতো না।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ মানে আমাদের প্রাণের বিদ্যাপীঠ। মনে হচ্ছে, ওইদিন মাত্র ১ম বর্ষে ছিলাম। কখন যে ফাইনাল ইয়ারে উঠে গেলাম বুঝতে পারলাম না। চাঁদপুর সরকারি কলেজে পড়ে আমার নিজেকে নিয়ে গর্ব হয়। আমার জীবনে এ কলেজে রয়েছে অনেক স্মৃতি, যা বলেও শেষ করার মতো না। স্কাউট নিয়ে কথা বলতে গেলে বলবো যে, এটা আমার প্রিয় একটা সংগঠন। যেখানে আমি পরিবারের মতো সবাইকে কাছে পেয়েছি, একসাথে কাজ করেছি।
মেধা ও প্রতিভা নিয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্মায় না। প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে হয়। জন্ম নিলেই মানুষ মানুষ হয় না, মনুষ্যত্ব দিয়ে তাকে মানুষ বানাতে হয়। পিতা-মাতা হলো সন্তানদের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম অধ্যাপক এবং পরিবারই হলো সবচেয়ে বড় বিদ্যাপীঠ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো মেধা ও প্রতিভা বিকাশের অন্যতম স্থান। সেই বিকাশের অন্যতম কারিগর হলেন শিক্ষক। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান বিজ্ঞান, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চার কল্যাণেই মনুষ্যত্ব ও মেধার সম্প্রসারণ ঘটে। আর মেধার সম্প্রসারণ ঘটাতে পারলেই জাগরণ ঘটে একটি জাতির। একটি দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে হলে জাতিকে গড়ে তুলতে হবে শিক্ষিত করে। সময়ের বিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তন ঘটেছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের ফলে প্রযুক্তি আজ আকাশছোঁয়া। একবিংশ শতাব্দির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধতা গড়ে তোলা।
সমাজকর্ম বিভাগের স্যারদের কথা বলতে গেলে শেষ করা যাবে না। এমন বিভাগে পড়াশোনা করেছি, যেখানে স্যাররা সন্তানের মতো আদর করতেন আমাদের। এমন সহপাঠী পেয়েছি, যারা ভাইয়ের মতো দেখতো। সবার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা ও দোয়া রইলো। মনে থাকবে সব সময় আমি চাঁদপুর সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র ছিলাম।
খালিদ হাসান : সমাজকর্ম বিভাগ, অনার্স সেশন : ২০১৭-২০১৮। বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।